২১৯২

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)

২১৯২-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন নবীর সুর করে কুরআন পড়াকে আল্লাহ তা’আলা যতটা কান পেতে শোনেন আর কোন কথাকে এতো কান পেতে শোনেন না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ [اٰدٰبُ التِّلَاوَةِ وَدُرُوْسُ الْقُرْاٰنِ]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَيْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ»

ব্যাখ্যা: সুললিত কন্ঠের তিলাওয়াত আল্লাহর নিকটে পছন্দনীয়। তাই কুরআন মাজীদকে সুমধুর কণ্ঠে করুণ সুরে পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। যাতে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে যায়, আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং শ্রোতার মন প্রভাবিত হয়ে বিগলিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ‘ইলমে তাজবীদের নিয়ম-কানুন এবং আয়াতের শব্দসমূহ ও বর্ণের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তবে কুরআনকে গানের সুরে পরিবর্তন করে পড়া নিঃসন্দেহে হারাম। অন্য হাদীসে এসেছে, কোন ব্যক্তি সুমদুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই ব্যক্তি যখন তাকে কুরআন তিলাওয়াত করতে শুনবে ভীত অবস্থায়। আর এটা হচ্ছে ‘আরবদের স্বাভাবিক সুর। যখন কারী সুন্দর আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করে তখন সবাই উদ্বেলিত হয়ে উঠে এবং তাদের মাঝে চিন্তা ও ভীতির সঞ্চার হয়। দাঊদ (আঃ) কাঁদো কাঁদো সুরে যখন যাবূর পড়তেন তখন জল-স্থলের সমস্ত প্রাণী মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করত এবং চুপে কাঁদত। তিনি যাবূরকে ৭০ ধরনের সুরে এমনভাবে তিলাওয়াত করতেন যে উত্তেজিত লোক উৎফুল্ল হয়ে যেত।