২১৭৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৭৯-[৭১] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি বস্তুর একটি শীর্ষস্থান রয়েছে। কুরআনের শীর্ষস্থান হলো সূরা আল বাকারাহ্। প্রত্যেক বস্তুরই একটি ’সার’ রয়েছে। কুরআনের সার হলো মুফাস্‌সাল সূরাহগুলো। (দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامًا وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَإِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ لُبَابًا وَإِنَّ لباب الْقُرْآن الْمفصل. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

ব্যাখ্যা: প্রত্যেকটি বস্ত্তর একটি চূড়া বা শীর্ষস্থান রয়েছে, ‘‘চূড়া বা শীর্ষ স্থান’’, এর মূলে ‘আরাবীতে سَنَامٌ শব্দ রয়েছে, এর অর্থ উটের পীঠের কুঁজ, যা তার দেহের সকল অঙ্গের শীর্ষ বা চূড়ায় থাকে; সূরা আল বাকারাহ্ আল কুরআনের শীর্ষ বা চূড়া মণি। সূরা আল বাকারার এ শীর্ষতা তার দীর্ঘতার কারণে হতে পারে, কেননা সূরা আল বাকারাহ্ আল কুরআনের সূরাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সূরা। এতে শারী‘আতের হুকুম-আহকাম খুব বেশী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, বিশেষ করে জিহাদের মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি হুকুম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, سَنَامٌ হলো বস্ত্তর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, সূরা আল বাকারাহ্ হলো আল কুরআনের শৃঙ্গ ও শীর্ষদেশ, এতে যত আহকাম একত্রিত হয়েছে অন্য কোন সূরায় তা হয়নি। এজন্য এ সূরা মুখস্থ করার বিশেষ ফাযীলাত ও বারাকাত রয়েছে। যে বাড়ীতে সূরা আল বাকারাহ্ পাঠ করা হয় শয়তান সে বাড়ী থেকে পলায়ন করে।

অত্র হাদীসে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক বস্ত্তর একটি সারনির্যাস রয়েছে, আর আল কুরআনের সার নির্যাস হলো মুফাসসাল সূরাসমূহ। এ মুফাসসাল সূরাহসমূহে যে বিষয় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো অন্যান্য সূরায় ইজমালীভাবে এসেছে। মুফাসসাল হলো সূরা আল হুজুরা-ত থেকে সূরা আন্ নাস পর্যন্ত।