২১৩৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৩৯-[৩১] মু’আয আল জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং এর মধ্যে তাঁর হুকুম-আহকামের উপর ’আমল করে, তার মাতাপিতাকে কিয়ামতের দিন একটি মুকুট পরানো হবে। এ মুকুটের কিরণ দুনিয়ার সূর্যের কিরণ হতেও উজ্জ্বল হবে, যদি এ সূর্য তোমাদের মধ্যে থাকত (তবে উপলব্ধি করতে পারতে)। যে ব্যক্তি এ কুরআনের উপর ’আমল করে তার ব্যাপারে এখন তোমাদের কী ধারণা? (আহমদ, আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن معَاذ الْجُهَنِيّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا؟» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: কুরআন তিলাওয়াতকারী এবং তার ওপর ‘আমলকারীর পিতা-মাতাকে সূর্যের চেয়ে উজ্জ্বল তাজ পরানো হবে।

এই উজ্জ্বলতা দৃষ্টিবিষাদী এবং তাপ বিচ্ছুরিত হবে না। বরং এ তাজ হবে অতি মূল্যবান অলংকারখচিত এক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য শোভিত আলোকপিন্ডর ন্যায়।

তাহলে ঐ কুরআনের বিধান মোতাবেক ‘আমলকারী সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? এখানে এ প্রশ্নবোধক ما ‘মা’ শব্দটি تحير الظان বা ধারণাকে হতবুদ্ধি করে ফেলানো অর্থে ব্যবহার হয়েছে। এর অর্থ তুমি ধারণাও করতে পারবে না যে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে। কোন চোখ তা দেখেনি, কোন কান তা শুনেনি এবং কোন অন্তর তা অনুধাবন করেনি। সুতরাং তার পুরস্কার দেখে তুমি হতবুদ্ধি হয়ে যাবে।