২১২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১২৭-[১৯] আবূ দারদা (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কি প্রতি রাতে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন তিলাওয়াতে সক্ষম? সাহাবীগণ বললেন, প্রতি রাতে কি করে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন পড়া যাবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সূরা ’কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ؟» قَالُوا: وَكَيْفَ يَقْرَأُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ؟ قَالَ: «قُلْ هُوَ الله أحد» يعدل ثلث الْقُرْآن . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান- এ কথার ব্যাখ্যায় মনীষীগণ বিভিন্ন মতামত করেছেন। একদল বলেন, কুরআনে তিনটি বিষয় আলোচিত হয়েছেঃ

১. আহকাম ২. ঘটনা বা ইতিহাস ৩. তাওহীদ বা একত্ববাদ। সূরা ইখলাস তৃতীয়টি প্রকাশে শ্রেষ্ঠ সূরা। সুতরাং এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। এ কথার সহায়ক সহীহ মুসলিমের বর্ণনা, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা পূর্ণ কুরআনকে তিন অংশে বিভক্ত করেছেন, কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ পুরো কুরআনের তিন ভাগের একভাগ।

ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, এ সূরার মধ্যে আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহের এমন দু’টি নাম ব্যবহার হয়েছে যার মধ্যে তার সকল গুণাবলীর পূর্ণতা নিহীত রয়েছে। অন্য কোন সূরার মধ্যে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ দু’টি সিফাতে কামাল বা পূর্ণগুণবাচক নাম হলো আল আহাদ এবং আস্ সামাদ।

আল্লাহ তা‘আলার এ দু’টি গুণবাচক নাম তার পবিত্র সত্তার একত্বের অর্থ প্রকাশক এবং তার চূড়ান্ত বিশেষণ। এ বর্ণনা এ অনুভূতি জাগ্রত করে যে, এই একত্বের গুণ কেবল তার জন্যই খাস এতে অন্য কারো অংশীদারিত্বের সুযোগ নেই।

আস্ সামাদ নামটির এ অনুভূতি জাগ্রত করে যে, অমুখাপেক্ষিতার পূর্ণগুণ একমাত্র আল্লাহর জন্যই খাস। এ গুণ পূর্ণরূপে কারো মধ্যেই নেই। সুতরাং এ গুণবাচক নাম অন্য কারো জন্য চলবে না। অতএব এ অদ্বিতীয় গুণ সম্বলিত নাম সমবিভ্যাহারে এ সূরাটি আল্লাহর পবিত্র স্বকীয় সত্তার পরিচয় জানার জন্য অন্য সকল সূরা তথা পূর্ণ কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।

একদল বলেছেন, সূরা ইখলাসকে আল কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সাথে দৃষ্টান্ত হলো সাওয়াবের দিক থেকে, অর্থাৎ- এ সূরা তিলাওয়াতকারী পূর্ণ কুরআন পাঠের এক তৃতীয়াংশের মতো সাওয়াব পাবে। অবশ্য ইবনু ‘উকায়ল এ কথাটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন, ইবনু রাহওয়াই তা সমর্থন করেছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ এর সাওয়াব দ্বিগুণ বা অধিক গুণে দেয়া হবে যা কুরআনের অন্যান্য সূরা ডাবল সাওয়াববিহীন আল কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। তবে এ কথার পক্ষে কোন দলীল নেই।