২১২০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১২০-[১২] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন পড়। কারণ কুরআন পাঠ কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে। তোমরা দু’ উজ্জ্বল সূরা আল বাকারাহ্ ও আ-লি ’ইমরান পড়বে। কেননা কিয়ামতের দিন এ সূরা দু’টি মেঘখণ্ড অথবা দু’টি সামিয়ানা অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে। এ দু’ সূরার পাঠকদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে। বিশেষ করে তোমরা সূরা আল বাকারাহ্ পড়বে। কারণ সূরা আল বাকারাহ্ পড়া বারাকাত আর তা না পড়া আক্ষেপ। এ সূরা দু’টি পড়তে পারবে না অলস বেকুবরা। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ اقْرَءُوا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُورَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ أَو فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا اقْرَءُوا سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلَا تستطيعها البطلة» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: ‘‘আমরা কুরআন পড়’’ এর অর্থ নিয়মিত তিলাওয়াত কর। কিয়ামতের দিন কুরআন এমন একটি রূপ ধারণ করে তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হিসেবে আসবে যা লোকেরা প্রকাশ্যে দেখবে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ‘আমলগুলোকে আকার আকৃতি দিয়ে মীযানের পাল্লায় ওযন দিবেন। আল্লাহ তো সর্ববিষয়ে ক্ষমতাশীল। এ জাতীয় কার্যাবলীর ব্যাপারে মু’মিনদের ঈমান আনাই কেবল দায়িত্ব।

এ দু’টি সূরাকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে এজন্য যে, এর হিদায়াত এবং সাওয়াব খুব বেশি ও বড়। যেন তা আল্লাহর নিকট অন্যান্য সূরার তুলনায় সমগ্র তারকার মধ্যে আকাশের দু’টি চন্দ্রের ন্যায়। এ দু’টি সূরার ফাযীলাত এজন্য বেশি যে, এতে শার‘ঈতের আহকামের নূর এবং আল্লাহ তা‘আলার আসমায়ে হুসনার উল্লেখ বেশি রয়েছে। কিয়ামতের দিন এ সূরা দু’টি তার তিলাওয়াতকারীর মাথার উপর মেঘের ন্যায় অথবা আবরের ন্যায় অথবা পাখির পাখার ন্যায় ছায়া বিস্তার করে থাকবে।

এ দু’টি সূরা বান্দার পক্ষে আল্লাহর সামনে জেরা করবে, অর্থাৎ- সুপারিশ করবে এবং তাকে আগুন থেকে বাধা প্রদান করবে। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, আল্লাহর সামনে এ সূরা দু’টির জেরা করার অর্থ হলো তিলাওয়াতকারীর পক্ষে হুজ্জত কায়িম করা।

এ দু’টি সূরাকে পড়ার জন্য বিশেষভাবে তাকীদ করা হয়েছে, কারণ এতে রয়েছে অপরিমিত বারাকাত, পক্ষান্তরে তা বর্জনে রয়েছে অপরিমিত ক্ষতি এবং লোকসান, যা হবে কিয়ামতের দিন ভীষণ আফসোসের কারণ। নির্বোধ অলস ব্যক্তিরাই কেবল এর তিলাওয়াত বর্জন করে থাকে।