২১১২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১১২-[৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন অধ্যয়নে পারদর্শী ব্যক্তি মর্যাদাবান লিপিকার মালায়িকাহ্’র (ফেরেশ্তাগণের) সাথী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়ন করে ও যে এতে আটকে যায় এবং কুরআন তার জন্য কষ্টদায়ক হয়, তাহলে তার জন্য দু’টি পুরস্কার। (বুখারী, মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شاق لَهُ أَجْرَانِ»

ব্যাখ্যা: কুরআনের পারদর্শী বলতে সর্ববিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তি। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ ‘হাফেয’ যার কুরআন মুখস্থ বা পড়তে গিয়ে ঠেকে যায় না এবং কোন অসুবিধা বা কষ্ট হয় না।

(سفرة الْكرام) হলো লেখার কাজে দায়িত্বশীল সম্মানিত দূত। তারা আল্লাহর রিসালাত নিয়ে মানুষের কাছে সফর করে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) (ফেরেশতামন্ডলী) যারা লাওহে মাহফূয বা সংরক্ষিত ফলক বহন করে থাকেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, এটা এমন সহীফায় লিপিবদ্ধ যা সম্মানিত উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র, সুসম্মানিত ও নেককার লেখকের হাতে থাকে। (সূরা ‘আবাসা ৮০ : ১৩-১৬)

 মোটকথা ভাল কুরআন তিলাওয়াতকারী মানব কল্যাণে অবতীর্ণ সম্মানিত বিশেষ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)’র (ফেরেশতামন্ডলীর) সাথে বন্ধু হিসেবে থাকবেন অথবা ঐ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)’র মর্যাদা লাভ করবেন। অথবা তারা এমন মর্যাদার স্থান লাভ করবেন যেখানে মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) তাদের বন্ধু হিসেবে থাকবেন।

পক্ষান্তরে কুরআনের উপর দক্ষতা না থাকার কারণে যারা থেমে থেমে কষ্ট করে তিলাওয়াত করবে তাদের সাওয়াব দ্বিগুণ হবে। একটি পাঠের জন্য অপরটি হলো কষ্টের জন্য। এটাও কষ্ট করে করে কুরআনুল কারীম শিক্ষার ক্ষেত্রে উৎসাহব্যঞ্জক কথা।

তাই বলে কুরআনের প্রাজ্ঞ ব্যক্তির চেয়ে সে কোনক্রমেই উত্তম নয়। কেননা প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের অবস্থান হবে অতীব উন্নত ও সম্মানিত মালায়িকাহর সাথে এবং তাদের সাওয়াব হবে বহু গুণে উন্নীত। ইবনুত্ তীন সহ অনেকে বলেন, এদের মর্যাদা এত বেশি গুণে উন্নীত যে, তা গুণে শেষ করা যাবে না। ‘আল্লামা কুসতুলানী বলেন, কুরআনের দক্ষ ব্যক্তির দক্ষতা অর্জন করতেও অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। সুতরাং তার মর্যাদা বেশিই হওয়া স্বাভাবিক।