২১০৬

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইতিকাফ

২১০৬-[১০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য এ নিয়ম পালন করা জরুরী- (১) সে যেন কোন রোগী দেখতে না যায়। (২) কোন জানাযায় শারীক না হয়। (৩) স্ত্রী সহবাস না করে। (৪) স্ত্রীর সাথে ঘেঁষাঘেষি না করে। (৫) প্রয়োজন ছাড়া কোন কাজে বের না হয়। (৬) সওম ছাড়া ইতিকাফ না করে এবং (৭) জামি’ মাসজিদ ছাড়া যেন অন্য কোথাও ইতিকাফে না বসে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَتْ: السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لَا يَعُودَ مَرِيضًا وَلَا يَشْهَدُ جِنَازَةً وَلَا يَمَسُّ الْمَرْأَةَ وَلَا يُبَاشِرُهَا وَلَا يَخْرُجُ لِحَاجَةٍ إِلَّا لِمَا لابد مِنْهُ وَلَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصَوْمٍ وَلَا اعْتِكَافَ إِلَّا فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসটি এ মর্মে দলীল, ইতিকাফকারী রোগীর সেবা ও জানাযায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বের হতে পারবে না- এ মর্মে ‘উলামাগণের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে।

‘আল্লামা আল খিরক্বী (রহঃ) বলেন, ইতিকাফকারী ব্যক্তি রোগীর সেবা ও জানাযায় অংশগ্রহণ করতে পারবে, না তবে যদি এ বিষয়ে শর্ত করে তবে পারবে। (অর্থাৎ- রোগীর সেবা করা ও জানাযায় শারীক হওয়াটা যদি ইতিকাফের শর্ত হয়, তবে রোগীর সেবা কিংবা জানাযায় শারীক হতে পারবে।)

‘আল্লামা ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) বলেন, যারা ইতিকাফের ক্ষেত্রে কোন শর্তের কথা বলেননি তাদের কথাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। কারণ ইতিকাফে শর্তারোপ করা সহীহ, য‘ঈফ, আসার এমনকি বিশুদ্ধ কোন কিয়াস দ্বারাও প্রমাণিত নয়। আমাদের কাছে প্রাধান্য কথা হলো, রোগীর সেবা করা কিংবা জানাযার জন্য বের হওয়া জায়িয নেই, চাই ইতিকাফ ওয়াজিব বা ওয়াজিব নয়, যেমন ইতিকাফ হোক। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ থেকে রোগীর সেবা ও জানাযার সালাতের উদ্দেশে বের হননি। আর তার ইতিকাফ ওয়াজিব ছিল না। ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেন, ওয়াজিব ইতিকাফের ক্ষেত্রে রোগীর সেবা ও জানাযায় গমন করা জায়িয নেই। তবে নাফলের ক্ষেত্রে তা জায়িয। আশ্ শামিল প্রণেতা বলন, এটা স্পষ্ট সুন্নাহ পরিপন্থী। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ থেকে রোগীর সেবা ও জানাযায় বের হতেন না। আর তার ইতিকাফ ছিল নফল, মানৎ-এর ইতিকাফ (ওয়াজিব) নয়।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ