২০৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫৪-[১৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ’আবদুল্লাহ! আমি জানতে পেরেছি, তুমি দিনে সওম রাখো ও রাত জেগে সালাত আদায় করো। আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ না, (এরূপ) করো না। সওম রাখবে, আবার ছেড়ে দেবে। সালাত আদায় করবে, আবার ঘুমাবে। অবশ্য অবশ্যই তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার চোখের ওপর হক আছে, তোমার ওপর তোমার স্ত্রীর হক আছে। তোমার মেহমানদেরও তোমার ওপর হক আছে। যে সবসময় সওম রাখে সে (যেন) সওমই রাখল না। অবশ্য প্রতি মাসে তিনটি সওম সবসময়ে সওম রাখার সমান। অতএব প্রতি মাসে (আইয়্যামে বীযে অথবা যে কোন দিনে তিনদিন) সওম রাখো। এভাবে প্রতি মাসে কুরআন পড়বে। আমি নিবেদন করলাম, আমি তো এর চেয়ে বেশী করার সামর্থ্য রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাহলে উত্তম দাঊদ (আঃ)-এর সওম রাখো। একদিন রাখবে, আর একদিন ছেড়ে দেবে। আর সাত রাতে একবার কুরআন খতম করবে। এতে আর মাত্রা বাড়াবে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ؟» فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: «فَلَا تَفْعَلْ صُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا. لَا صَامَ مَنْ صَامَ الدَّهْرَ. صَوْمُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ. صُمْ كُلَّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَاقْرَأِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ» . قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: صُمْ أَفْضَلَ الصَّوْمِ صَوْمَ دَاوُدَ: صِيَامُ يَوْمٍ وَإِفْطَارُ يَوْمٍ. وَاقْرَأْ فِي كُلِّ سَبْعِ لَيَالٍ مَرَّةً وَلَا تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ

ব্যাখ্যা: আহমাদে রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মাসে কুরআন তিলাওয়াত কর। আমি (‘আবদুল্লাহ বিন ‘আমর) বললাম, আমি তার চাইতে বেশি সক্ষম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, প্রতি দশদিনে তিলাওয়াত কর। আমি বললাম আমি আরো বেশি সক্ষম। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, প্রতি তিনদিনে তিলাওয়াত (খতম) কর। বুখারীর অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, প্রতি মাসে কুরআন তিলাওয়াত কর। ‘আবদুল্লাহ বললেন, আমি এর চেয়ে বেশি পালনে সক্ষম। এমনকি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের কথা বললেন।

‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করতেন না এবং এ মতই ইমাম আহমাদ (রহঃ)-এর পছন্দ। যেমন আল মুগনী (২য় খণ্ড ১৮৪ পৃঃ) উল্লেখ রয়েছে। আর আবূ ‘উবায়দ, ইসহাক বিন রহ্ওয়াইহি-ও অনুরূপ মত গ্রহণ করেছেন।

‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমার নিকট ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর মতই অধিক গ্রহণযোগ্য, আর তিনি তিন দিনের কমে কুরআন খতম অপছন্দ করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ