১৯৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা

১৯৭৭-[৯] ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ’ইয়াওমুশ্ শাক-এ’ (অর্থাৎ- সন্দেহের দিন) সিয়াম রাখে সে আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নাফরমানী করল। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

وَعَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: «مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدَ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي

ব্যাখ্যা: সামান্যতম সন্দেহ দেখা দিলে সে সময়ে সিয়াম পালন শারী‘আত প্রণেতার অবাধ্য হওয়ার কারণ ঘটবে, আর যেখানে স্পষ্ট সন্দেহ বিদ্যমান সে সময়ে সিয়াম পালনকারী নিশ্চিতভাবেই শারী‘আত প্রণেতার অবাধ্য। আর সন্দেহের দিন থেকে উদ্দেশ্য শা‘বান মাসের ত্রিশ তারিখ যদি ঐ রাতে আকাশে মেঘ থাকার কারণে চাঁদ না দেখা যায়। ফলে এ দিনটি শা‘বান মাসেরও হতে পারে আবার রমাযান (রমজান) মাসেরও হতে পারে। যেহেতু চন্দ্রমাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়, তাই এ ত্রিশতম দিন সন্দেহের দিন। এ রাতে চাঁদ দেখা গেলে সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আর আকাশ পরিষ্কার থাকার পর চাঁদ না দেখা গেলেও সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আর আকাশ মেঘলা থাকলে সন্দেহ সৃষ্টি হল। অতএব এ সন্দেহের সময়ে যে ব্যক্তি ঐ দিনে রমাযানের সিয়াম মনে করে সিয়াম পালন করল, সে নিঃসন্দেহে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবাধ্য হল। কেননা তিনি এ ক্ষেত্রে শা‘বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করার আদেশ দিয়েছেন আর সিয়াম পালনকারী এ নির্দেশ লঙ্ঘন করল না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ