১৯৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্বামীর সম্পদ থেকে স্ত্রীর সদাক্বাহ্ করা

১৯৪৯-[৩] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মুসলিম খাদিম বা পাহারাদার, মালিক-এর নির্দেশ অনুসারে কোন পূর্ণ হৃষ্টচিত্তে আমানাতদারীর সাথে ওই ব্যক্তিকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়, যাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেবার জন্য মালিক বলে দিয়েছে, সে সদাক্বাকারীদের একজন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صَدَقَةِ الْمَرْأَةِ مِنْ مَالِ الزَّوْجِ

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْخَازِنُ الْمُسْلِمُ الْأَمِينُ الَّذِي يُعْطِي مَا أُمِرَ بِهِ كَامِلًا مُوَفَّرًا طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ فَيَدْفَعُهُ إِلَى الَّذِي أَمر لَهُ بِهِ أحد المتصدقين»

ব্যাখ্যা: মালিকের ধন ভান্ডার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত মুসলিম ও আমানাতদার খাদিম (খাজাঞ্চী) যাকে মালিকের পক্ষ থেকে যা দান করতে আদেশ দেয়া হয় তা তার প্রবৃত্তি অনুযায়ী কম-বেশি করে দান করে না বরং কৃপণতামুক্ত হয়ে সন্তুষ্টচিত্তে, খুশিমনে পূর্ণভাবে দান করে। হাফিয ইবনু হাজার আল্ আসক্বালানী বলেন, অত্র হাদীসে খাজাঞ্চীকে মুসলিম হওয়ার শর্তারোপ করায় কাফির খাজাঞ্চী এ হাদীসে বর্ণিত সাওয়াব পাবে না। কারণ, কাফিরের সাওয়াবের নিয়্যাত থাকে না। অপরদিকে আমানাতদার হওয়ার শর্তারোপ দ্বারা খিয়ানাতকারী খাজাঞ্চী বাদ পড়ে যায়।

অত্র হাদীসে খাজাঞ্চী যে সাওয়াব পাবে তার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। এ চারটি শর্তের কোন একটি বাদ গেলে সে বর্ণিত সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। শর্ত চারটি হলোঃ (১) মালিক-এর অনুমতি থাকতে হবে; (২) মালিক যা দান করতে আদেশ দিবেন তা থেকে কোন কমতি না করে দান করতে হবে; (৩) দান করার ক্ষেত্রে খুশিমনে দান করতে হবে; কেননা অনেক খাজাঞ্চী/কোষাধ্যক্ষ বা খাদিম আছে যারা মালিক-এর দানের আদেশের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। (৪) মালিক যাকে/যেখানে দান করতে কোষাধ্যক্ষকে আদেশ দিবেন তাকে সেখানেই দান করতে হবে; অন্য কোন গরীব/মিসকীনকে দান করলে হবে না।

উপরোক্ত শর্তসমূহ মেনে কোন খাজাঞ্চী যদি দান করে তাহলে সেও দানকারীদের একজন হবে।

শাইখ যাকারিয়্যা আল্ আনসারী বলেন, খাদিম ও মালের মালিক সাওয়াব পাওয়ার দিকে দিয়ে সমান যদিও তাদের সাওয়াবের পরিমাণে কিছু কম বেশি হতে পারে। সুতরাং মালিক যদি তার খাদিমকে ১০০ দীনার (মুদ্রা) প্রদান করে তার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা কোন ফকীরকে দেয়ার জন্য সে ক্ষেত্রে মালিক-এর সাওয়াব বেশি হবে। অপরদিকে মালিক যদি খাদিমকে একটি আটার ঢিলা বা রুটি দিয়ে বলে এটি দূরবর্তী কোন স্থানের কোন ফকীরকে দিয়ে আসো আর সেখানে পৌঁছতে খাদিমের যাতায়াত ভাড়া এবং যাওয়ার পারিশ্রমিক যদি রুটির মূল্যের চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে খাদিমের সাওয়াব বেশি হবে। আর যদি রুটির মূল্য তার যাতায়াত ভাড়া বা পারিশ্রমিকের সম পরিমাণ হয় তাহলে তাদের সাওয়াবও সমান হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ