১৯৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - উত্তম সদাক্বার বর্ণনা

১৯৩৬-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার দু’জন প্রতিবেশী আছে। এ দু’জনের মধ্যে কাকে আমি হাদিয়্যাহ্ (উপহার) দেব? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এ দু’জনের যার ঘরের দরজা তোমার বেশী নিকটবর্তী। (বুখারী)[1]

بَابُ أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ

وَعَن عَائِشَة قَالَت: يَا رَسُول الله إِن لِي جَارَيْنِ فَإِلَى أَيِّهِمَا أُهْدِي؟ قَالَ: «إِلَى أقربهما مِنْك بَابا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: যার ঘরে দরজা তোমার অধিক নিকটে তাকে প্রথমে দান করবে। কারণ সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীর ঘরে উপহার সামগ্রী বা অন্যান্য কী কী বস্ত্ত ঢোকে তা দেখে। তাছাড়া নিকটতম প্রতিবেশীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও আসা-যাওয়া, মেলামেশা বেশি ঘটে এবং তারাই প্রতিবেশীর যে কোন প্রয়োজনে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসে। তাই তারাই অপেক্ষাকৃতভাবে বেশি হকদার।

ইবনু আবী জামরাহ্ বলেন, সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশীকে উপহার প্রদান করা মুস্তাহাব। যেহেতু উপহার প্রদানের বিষয়টি ওয়াজিব নয় সেহেতু সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়। (লেখক বলেন,) এ হাদীস দ্বারা এ কথা বুঝানো উদ্দেশ্য নয় যে, সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশীকেই শুধু উপহার দিতে হবে, অন্য কোন প্রতিবেশীকে দেয়া যাবে না। যেমনটি হাদীসের বাহ্যিক অর্থ দ্বারা বুঝা যায়। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিকটতম প্রতিবেশী সর্বাগ্রে উপহার পাওয়ার অথবা অতিরিক্ত অনুগ্রহ পাওয়ার অধিক উপযোগী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

  ...الْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ...

অর্থাৎ ‘‘... নিকট প্রতিবেশী ও দূর প্রতিবেশী...-এর সাথে সদ্ব্যবহার করবে।’’ (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ৩৬)

প্রতিবেশী কে? এ প্রশ্নের উত্তরে মতানৈক্য রয়েছে। ‘আলী (রাঃ)-এর মতে, যে ডাক শুনতে পায় সে প্রতিবেশী। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর মতে, প্রতিবেশী হচ্ছে প্রত্যেক দিকে চল্লিশ ঘর পর্যন্ত। ইবনু ওয়াহ্ব ইউনুস থেকে, তিনি ইবনু শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, প্রতিবেশী হচ্ছে ডান, বাম, পিছন, সামনে চল্লিশ ঘর। এর দ্বারা এটাও বুঝানো হতে পারে যে, প্রতি দিকে দশ ঘর।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ