১৭০৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা

১৭০৩-[১১] হিশাম ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের যুদ্ধের দিন বলেছেন, কবর খনন কর, কবরকে প্রশস্ত কর, বেশ গভীর করে খনন কর এবং এগুলোকে ভালো করে কর, অর্থাৎ মাটি এবং ধূলিকণা থেকে পরিষ্কার কর। এক-একটি কবরে দু’ দু’, তিন তিন জন করে দাফন করো। আর তাদের মধ্যে যার বেশী করে কুরআন হিফয আছে তাকে কবরে আগে রাখো। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী এবং ইমাম ইবনু মাজাহ ’ওয়া আহসিনূ’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।)[1]

وَعَنْ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ أُحُدٍ: «احْفُرُوا وَأَوْسِعُوا وَأَعْمِقُوا وَأَحْسِنُوا وَادْفِنُوا الِاثْنَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ فِي قبر وَاحِد وَقدمُوا أَكْثَرهم قُرْآنًا» . رَوَاهُ أمد وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ إِلَى قَوْله وأحسنوا

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে কবরকে প্রশস্ত এবং গভীর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কবর কতটুকু গভীর করতে হবে এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম শাফি‘ঈর মতে, লাশের দৈর্ঘ্যের সমান গভীর করতে হবে। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয বলেন, নাভী থেকে নিচ পর্যন্ত গভীর করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে ইমাম মালিক বলেন, এর গভীরতার কোন সীমা নির্ধারিত নেই। কেউ কেউ বুক বরাবর গভীর করার মতামত ব্যাক্ত করেছেন। কবরকে গভীর করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, লাশের নিরাপত্তা লাভ করা এবং হিস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।

তাছাড়া এ হাদীসে লাশকে সম্মানের সাথে দাফন করার কথা বলা হয়েছে। এ হাদীসে আরো প্রমাণ পাওয়া যায় যে, একই ক্ববরে একাধিক লোককে দাফন করা জায়িয আছে। তবে প্রয়োজন ছাড়া এ রকম করা মাকরূহ। ইমাম আবূ হানীফাহ্, শাফি‘ঈ এবং আহমাদ এ মতামতটি ব্যক্ত করেছেন। প্রয়োজনে যখন একই ক্ববরে একাধিক লোককে দাফন করা হবে তখন তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরআনের জ্ঞান বেশি জানে তাকে কা‘বার দিকে রাখতে বলা হয়েছে। এ থেকে এ কথা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, জীবিত অবস্থায় যার সম্মান বেশি তিনি মারা গেলে তার লাশ ঐ রকম সম্মান পাওয়ার অধিকারী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ