১৬২২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়

১৬২২-[৭] মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মৃত ব্যক্তির সামনে সূরাহ্ ইয়াসীন পড়ো। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «اقرؤوا سُورَةَ (يس) عَلَى مَوْتَاكُمْ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যা: اقرؤوا سُورَةَ (يس) عَلى مَوْتَاكُمْ তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তির সামনে সূরাহ্ ইয়াসীন পড় মৃত ব্যক্তি বলতে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে বা মৃত্যুর সময়, কেননা মৃত ব্যক্তির ওপর কুরআন পড়া হয় না বা বৈধ না। বলা হয়ে থাকে সূরাহ্ ইয়াসীন এজন্য পড়া হয়। কেননা সূরাহ্ ইয়াসীনে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) ও পুনরুত্থানের মূল ‘আক্বীদার বিষয়গুলো রয়েছে তা শুনলে ঈমান ও বিশ্বাসের চেতনা আরো বেশী দৃঢ় হয়।

উল্লেখিত মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার বর্ণিত হাদীসটি (لقنوا موتاكم لا إله إلا الله) ‘‘তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তিদেকে তালকীন করবে।’’ হাদীসের মতঃ আর এও সম্ভাবনা রয়েছে কারও মতে ক্ববরের নিকট পড়া প্রথমটিই বেশি গ্রহণযোগ্য কতকগুলো কারণে।

প্রথমতঃ (لقنوا موتاكم لا إله إلا الله) ‘‘তোমরা তোমাদের আসন্ন মৃত্যু ব্যক্তিদের তালকীন করবে (لا إله إلا الله) এর সাদৃশ্যতুল্য।

দ্বিতীয়তঃ মুমূর্ষু ব্যক্তি বা আসন্ন মৃত ব্যক্তি এ সূরার মাধ্যমে উপকৃত হয়, কেননা এতে তাওহীদ আখিরাতে এবং জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে তাওহীদবাদদের জন্য আর ঈর্ষা রয়েছে যে ব্যক্তি এর উপর মৃত্যুবরণ করছে তার বক্তব্য يَا لَيْتَ قَوْمِيْ يَعْلَمُوْنَ ۝ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِيْ مِنَ الْمُكْرَمِيْنَ হায় আফসোস আমার জাতিরা যদি জানতে পারত যে আমার প্রভু আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সুতরাং রূহ সুসংবাদ পায় তার দ্বারা আল্লাহর সাক্ষাতকে ভালবাসে আর আল্লাহ ও তার সাক্ষাতকে ভালবাসেন আর এ সূরাটি কুরআনের হৃদয়। আসন্ন মৃত ব্যক্তির সামনে এটা পড়া বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

তৃতীয়তঃ আর এ ‘আমলটি অনেক পূর্ব হতে চলে আসছে বর্তমান পর্যন্ত যে মুমূর্ষু ব্যক্তির সামনে সূরাহ্ ইয়াসীন পড়া।

চতুর্থতঃ যদি সাহাবীরা বুঝতেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী তোমরা সূরাহ্ ইয়াসীন পড় মৃত ব্যক্তির ওপর এর দ্বারা উদ্দেশ্য ক্ববরের নিকট পড়বে। তাহলে তারা তা পড়া হতে বিরত হতেন না। আর এটা প্রসিদ্ধ সাহাবীরা পড়তেন না।

পঞ্চমতঃ উদ্দেশ্য হল দুনিয়া হতে বিদায়ের সময় শেষ মুহূর্তে মনোযোগ সহকারে শোনানোর মাধ্যমে উপকার দেয়া। আর ক্ববরের উপর তা পাঠ করতে এর কোন সাওয়াব আসে না। কেননা সাওয়াব হলে পড়া বা শ্রবণের মাধ্যমে আর তা ‘আমল বলে গণ্য এবং তা মৃত্যুর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ