১৪৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৫১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাজদায়ে শুক্‌র

সালাতের বাইরে স্বতন্ত্র সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) তন্মধ্যে বালা-মুসীবাত দূরীভূত অর্জিত নি’আমাতের বিনিময়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। শাফি’ঈ ও আহমাদের নিকট সুন্নাহ এবং এটা মুহাম্মাদ-এর উক্তি আর এ ব্যাপারে অসংখ্য হাদীস ও আসার বিদ্যমান। আবূ হানীফাহ্ ও মালিক-এর নিকট সুন্নাহ না, বরং তা মাকরূহ আর তাদের মতে উল্লেখিত সিজদা্ দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) উদ্দেশ্য। প্রকৃতপক্ষে তাতে অংশ বিশেষ উল্লেখ করে গোটা বিষয়কে বুঝানো হয়েছে। এরূপ বহু ব্যবহার হয় যে অংশবিশেষকে নিয়ে গোটা বিষয়কে বুঝানো হয়। অথবা সিজদা্ শুকুর বিষয়টি রহিত হয়েছে। বা আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য অগণিত নি’আমাতের মধ্যে যদি প্রতিটি নি’আমাতের জন্য সিজদা্ করা হয় তাহলে বান্দা তা কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অপরাগ হবে। আর মুল্লা ’আলী ক্বারী বলেন, বড় কোন নি’আমাতের সুসংবাদের সময় এবং শারীরিক মুসীবাত দূরীভূতীর সময় কৃতজ্ঞতার সিজদা্ সুন্নাহ। সিনদী বলেন, এ বিষয়ে হাদীসসমূহের সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সিজদা্ শারী’আত সম্মত। আর ইমাম শাওকানী নায়লুল আওতারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সিজদা্ সংক্রান্ত হাদীসসমূহ উল্লেখের পর বলেন যে, এ সকল হাদীস প্রমাণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সিজদা্ শারী’আত সম্মত।


১৪৯৪-[১] আবূ বকরাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন আনন্দের ব্যাপার সংঘটিত হলে অথবা কোন ব্যাপার তাঁকে খুশী করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশে সাজদায় নুয়ে পড়তেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী; তিনি [ইমাম তিরমিযী] বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

بَابٌ فِىْ سُجُوْدِ الشُّكْرِ

عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَاءَهُ أَمْرٌ سُرُورًا أَوْ يُسَرُّ بِهِ خَرَّ سَاجِدًا شَاكِرًا لِلَّهِ تَعَالَى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حسن غَرِيب

ব্যাখ্যা: হাদীস সুস্পষ্ট প্রমাণ করে যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) শারী‘আত সম্মত। তিরমিযী বলেন, অধিকাংশ ‘উলামাদের এরই উপর ‘আমল। আর যারা এ সাজদাকে সালাতের উপর প্রয়োগ করেছেন। তা প্রকৃত উদ্দেশ্য হতে শুধু অনেক দূরেই নয় বরং বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য। এ ব্যাপারে কোন দলীল নেই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাজদায় কি পবিত্রতা শর্ত? কারও মতে শর্ত সালাতের উপর কিয়াস করে, আবার কারও মতে শর্ত না। আমীর ইয়ামানী বলেন, এটাই সঠিক। অধ্যায়ের হাদীসগুলোতে পবিত্রতার শর্ত প্রমাণ করে না। আর সেখানে তাকবীরও প্রমাণ করে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ