১৪৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী

১৪৭৪-[২২] তিনি (ইমাম মালিক) আরো বলেন, ’আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)হতেও এরূপ একটি উক্তি প্রমাণিত।[1]

وَقَالَ: وَبَلَغَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مثله

ব্যাখ্যা: কুরবানীর দিন গণনায় ইমামগণের মতানৈক্যঃ

১। আবূ হানীফাহ্, মালিক, আহমাদ ও সওরীর অভিমত, ঈদের দিন ও এর পরে আরো দু’দিন ঈদুল আযহা ও কুরবানীর দিন। দলীল উপরোল্লিখিত হাদীস।

২। শাফি‘ঈর অভিমত, চারদিন পর্যন্ত কুরবানী বৈধ তথা কুরবানীর দিন, এরপর তাশরীকের দিনগুলো। দলীলঃ জুবায়র বিন মুত্‘ইম তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, প্রত্যেক তাশরীকের দিনগুলো যাবাহ এর দিন।

৩। ইবনু সীরিন ও হুমায়দ বিন ‘আবদুর রহমান ও দাঊদ জাহিরীর অভিমত, কুরবানী করার জন্য দিন হল মাত্র একদিন। কেননা ঈদের দিনে কুরবানীর কাজ যেমন ঈদুল ফিতরের দিন কাজ হল ফিতরাহ্ আদায় করা। আর এ দিনকে এ নামেই খাস করা হয়েছে। আর যদি বৈধ হত তাহলে বলত أَيَّامُ النَّحَرِ। কুরবানীর দিনগুলো যেমন বলা হয় أَيَّامُ مِنًى وَأَيَّامُ التَّشْرِيْقِ মিনা ও তাশরীকের দিনগুলো।

৪। সা‘ঈদ বিন জুবায়র ও জাবির বিন যায়দ-এর অভিমত নগরবাসীর জন্য শুধুমাত্র একদিন আর মিনায় অবস্থানকারীর জন্য তিনদিন। কেননা সেখানে অনেক কাজ রয়েছে যেমন কুরবানী, পাথর নিক্ষক্ষপ, ত্বাওয়াফ ইত্যাদি।

৫। ইবনু হুমাম-এর অভিমত, মুহারর্ম পর্যন্ত। দলীলঃ দারাকুতনী ইবনু শায়বাহ্ আর আবূ দাঊদ তার মারাসিলে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরবানী মুহাররমের চাঁদ উদয় পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির জন্য যে ঐ সময় উপনীত হয় বা বিলম্ব করতে চায়। এই পাঁচ রকম অভিমতের মধ্যে ইমাম শাফি‘ঈর অভিমতই বেশ শক্তিশালী ও প্রাধান্যকর।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ