১৪৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী

১৪৫৯-[৭] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা রাখলে, যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশক শুরু হয়ে গেলে সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোন কিছু না ধরে অর্থাৎ না কাটে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, সে যেন কেশ স্পর্শ না করে ও নখ না কাটে। অপর এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি যিলহাজ্জ মাসের নব চাঁদ দেখবে ও কুরবানী করার নিয়্যাত করবে সে যেন নিজের চুল ও নিজের নখগুলো কর্তন না করে। (মুসলিম)[1]

بَابٌ فِي الْأُضْحِيَّةِ

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ وَأَرَادَ بَعْضُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَمَسَّ مِنْ شَعْرِهِ وَبَشَرِهِ شَيْئًا» وَفِي رِوَايَةٍ «فَلَا يَأْخُذَنَّ شَعْرًا وَلَا يَقْلِمَنَّ ظُفْرًا» وَفِي رِوَايَةٍ «مَنْ رَأَى هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَأْخُذْ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: (وَأَرَادَ بَعْضُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ) ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী করতে চায়’ এ হাদীসটি প্রমাণ করে কুরবানী ওয়াজিব না কেননা কুরবানীকে ন্যাস্ত করা হয়েছে ইচ্ছার উপর। বলা হয়েছে (وَأَرَادَ) যে ইচ্ছা করে। আর যদি ওয়াজিব হত তাহলে ইচ্ছার উপর ন্যাস্ত করত না। আর হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, যিলহাজ্জ (হজ/হজ্জ) মাস প্রবেশের পর যে কুরবানী করার ইচ্ছা পোষণ করে তার জন্য চুল নখ না কাটা শারী‘আত সম্মত। আহমাদ, ইসহাক ও দাঊদ-এর মতে কুরবানী পর্যন্ত চুল নখ ইত্যাদি কাটা হারাম। দলীল উম্মু সালামার হাদীস। আর শাফি‘ঈর মতে কাটা মাকরূহ তথা ঘৃণিত, হারাম না। আর ইমাম আবূ হানীফার মতে কাটা বৈধ ঘৃণিত না উত্তম না। আর এমনটি করার হিকমাত হলঃ শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত হতে পারে। আর তুরবিশতী বলেনঃ কুরবানীদাতা কুরবানীর মাধ্যমে নিজেকে উৎসর্গ করে ক্বিয়ামের দিনে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার এবং আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি কামনা করে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ