৩৪২

পরিচ্ছেদঃ

৩৪২। মা হাওয়া যখন গর্ভবতী হলেন, তখন ইবলীস তাঁকে নিয়ে তাওয়াফ করল। তার (হাওয়ার) সন্তান জীবন ধারণ করত না। অতঃপর (ইবলিস) বললঃ তার নাম রাখুন আব্দুল হারেস। তিনি তার নাম রাখলেন আব্দুল হারেস। ফলে সে জীবন ধারণ করল। এটি ছিল শয়তানের ওহী হতে এবং তার নির্দেশে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটি তিরমিযী (২/১৮১), হাকিম (২/৫৪৫), ইবনু বিশরান "আল-আমলী" গ্রন্থে (২/১৫৮) এবং আহমাদ (৫/১১) উমর ইবনু ইবরাহীম সূত্রে কাতাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। এটিকে কাতাদা থেকে উমার ইবনু ইবরাহীমের হাদীস ছাড়া অন্য কোন সূত্রে চিনি না। হাকিম বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ। যাহাবীও তার কথাকে সমর্থন করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা যেরূপ বলেছেন তেমন নয়। কারণ (এটির সনদে) বর্ণনাকারী হাসান, সামুরা হতে শুনেছেন কিনা তাতে মতভেদ রয়েছে। তার পরেও তিনি মুদাল্লিস। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে হাসানের জীবনীতে বলেনঃ হাসান বেশী বেশী তাদলীস করতেন। যখন তিনি কোন হাদীসে আন ফুলান অমুক হতে বলেন তখন তা দলীল হিসাবে গ্রহণ করা দুর্বল হয়ে যায়। ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে বলেনঃ উমার ইবনু ইবরাহীম এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ কাতাদা হতে তার হাদীস মুযতারিব। তিনি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও তার হাদীস লিখা যায়।

لما حملت حواء طاف بها إبليس، وكان لا يعيش لها ولد، فقال: سميه عبد الحارث، فسمته: عبد الحارث، فعاش، وكان ذلك من وحي الشيطان وأمره ضعيف - أخرجه الترمذي (2 / 181 - بولاق) والحاكم (2 / 545) وابن بشران في " الأمالي " (158 / 2) وأحمد (5 / 11) وغيرهم من طريق عمر بن إبراهيم عن قتادة عن الحسن عن سمرة بن جندب مرفوعا، وقال الترمذي: حديث حسن غريب لا نعرفه إلا من حديث عمر بن إبراهيم عن قتادة، وقال الحاكم: صحيح الإسناد ووافقه الذهبي قلت: وليس كما قالوا، فإن الحسن في سماعه من سمرة خلاف مشهور، ثم هو مدلس ولم يصرح بسماعه من سمرة وقال الذهبي في ترجمته من " الميزان ": كان الحسن كثير التدليس، فإذا قال في حديث: عن فلان، ضعف احتجاجه قلت: وأعله ابن عدي في " الكامل " (3 / 1701) بتفرد عمر بن إبراهيم وقال: وحديثه عن قتادة مضطرب، وهو مع ضعفه يكتب حديثه ومما يبين ضعف هذا الحديث الذي فسر به قوله تعالى (فلما آتاهما صالحا جعلا له شركاء فيما آتاهما ... ) الآية، أن الحسن نفسه فسر الآية بغير ما في حديثه هذا، فلوكان عنده صحيحا مرفوعا لما عدل عنه، فقال في تفسيرها: كان هذا في بعض أهل الملل ولم يكن بآدم، ذكر ذلك ابن كثير (2 / 274 - 275) من طرق عنه ثم قال: وهذه أسانيد صحيحة عن الحسن أنه فسر الآية بذلك، وهو من أحسن التفاسير وأولى ما حملت عليه الآية، وانظر تمام كلامه فإنه نفيس، ونحوه في " التبيان في أقسام القرآن " (ص 264) لابن القيم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ