১৪২৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত

১৪২৮-[৩] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর ও ’উমার (রাঃ) দু’ ঈদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) খুতবার পূর্বেই আদায় করতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يُصَلُّونَ الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ

ব্যাখ্যা: আমি (ভাষ্যকার) বলি, তিরমিযী ব্যতিরেকে সকল গ্রন্থকার ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ঈদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকর, ‘উমার (রাঃ) ও ‘উসমানের সাথে; তারা সকলেই খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করেছেন। হাদীস দু’টিতে প্রমাণ পাওয়া যায়, খুতবার পূর্বেই ঈদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আর এর উপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ে রাশিদীনরা ‘আমল করেছেন এবং বর্তমান পর্যন্ত চলছে। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী ও অন্যান্যদের হতে আহলে ‘ইলমরা এর উপর ‘আমল করে আসছেন যে, খুত্বার পূর্বেই সালাত। কারও মতেঃ সর্বপ্রথম মারওয়ান বিন হাকাম সালাতের পূর্বে খুতবাহ্ চালু করেন। কেউ যদি সালাতের পূর্বে খুত্বাহ্ (খুতবা) প্রদান করে তাহলে সে যেন খুতবাহ্ প্রদান করেনি কারণ সে অস্থানে খুতবাহ্ প্রদান করেছে। সুতরাং সালাত শেষে পুনরায় যেন খুতবাহ্ (খুতবা) দেয়। মালিক ও আহমাদ এ মন্তব্য করেছেন। আর বাজী বলেনঃ আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর অস্বীকার মারওয়ান-এর ঈদের সালাতের পূর্বে খুতবাহ্ প্রদানের বিষয়টিতে ঘৃণার দৃষ্টিভঙ্গিতে, কারণ তিনি তাঁর (মারওয়ান-এর) সাথে ঈদের সালাত আদায় করেছেন যদি হারাম বা শর্ত হত তাহলে তিনি তার পিছনে সালাত আদায় করতেন না।

আর মুল্লা ‘আলী ক্বারী ইবনু হুমাম হতে বলেন, যদি সালাতের পূর্বে খুতবাহ্ (খুতবা) প্রদান করে তাহলে সুন্নাহর বিপরীত করল আর খুতবাহ্ (খুতবা) পুনারাবৃত্তি করবে না। ইবনু মুনযির বলেনঃ ‘উলামারা ঐকমত্য হয়েছেন খুতবাহ্ সালাতের পরে পূর্বে বৈধ হবে না আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিশুদ্ধ হবে যদিও পূর্বে খুতবাহ্ পূর্বে প্রদান করে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ