১৪০৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪০৩-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচন্ড শীতের সময় জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সকাল সকাল (প্রথম ওয়াক্তে) আদায় করতেন, আর প্রচন্ড গরমের সময় দেরী করে আদায় করতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اشْتَدَّ الْبَرْدُ بَكَّرَ بِالصَّلَاةِ وَإِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ أَبْرَدَ بِالصَّلَاةِ. يَعْنِي الْجُمُعَةَ. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে যা পাওয়া যায় তা হলোঃ নিশ্চয় এ বর্ণনাগুলো প্রমাণ করে যে, আনাস (রাঃ)-এর নিকট জুমু‘আর সালাতও বিলম্বে আদায় করা যায়। আর এটা যুহরের সালাতের উপর ক্বিয়াস বা অনুমান, এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ কোন নস বা দলীল নেই। কিন্তু অধিকাংশ হাদীস যুহর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) জুমু‘আহ্ থেকে ভিন্নতার উপর প্রমাণ করে এবং জুমু‘আর সালাত শীঘ্রই আদায় করার উপর প্রমাণ পাওয়া যায়।

ইবনু ক্বাতাদাহ্ আল মুগনীর (২য় খন্ড, ২৯৬ পৃঃ) উল্লেখ করেছেন যে, সূর্য ঢলার পর পরই গরমের তীব্রতা থাকা ও না থাকার মাঝে জুমু‘আর সালাত আদায় মুস্তাহাব হওয়ার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং যদি তারা গরমের তীব্রতা হ্রাসের জন্য অপেক্ষা করে, এটাই তাদের ওপর কষ্টকর হবে। এজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই সূর্য ঢলে যেত তখনই জুমু‘আহ্ আদায় করতেন, শীত কিংবা গ্রীষ্মকালে তিনি একই সময়ে সালাত আদায় করতেন। আর তিনি (ইবনু কুদামাহ্) মুগনীর ১ম খন্ডের ৩৯০ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ সূর্য ঢলে পড়ার পর বিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে জুমু‘আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাটাই সুন্নাত। কেননা সালামাহ্ ইবনু আকওয়াহ্ (রাঃ) বলেনঃ আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জুমু‘আহ্ আদায় করেছি যখন সূর্য ঢলে যেত তখন। (বুখারী, মুসলিম)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ