১৩২৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সালাত

১৩২৬-[৫] বুরায়দাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজ্‌রের (ফজরের) সময় বিলালকে ডাকলেন। তাকে তিনি বললেন, কি ’আমল দ্বারা তুমি আমার পূর্বে জান্নাতে চলে গেছ। আমি যখনই জান্নাতে প্রবেশ করেছি, তোমার জুতার আওয়াজ শুনেছি। বিলাল আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি আযান দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অবশ্যই আদায় করি। আর আমার উযূ (ওযু/ওজু/অজু) নষ্ট হয়ে গেলে তখনই আমি উযূ করে আল্লাহর জন্যে দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা জরুরী মনে করেছি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, এ কারণেই তুমি এত বিশাল মর্যাদায় পৌঁছে গেছ। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: أَصْبَحَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَا بِلَالًا فَقَالَ: «بِمَ سَبَقْتَنِي إِلَى الْجَنَّةِ مَا دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَطُّ إِلَّا سَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي» . قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلَّا صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ وَمَا أَصَابَنِي حَدَثٌ قَطُّ إِلَّا تَوَضَّأْتُ عِنْدَهُ وَرَأَيْتُ أَنَّ لِلَّهِ عَلَيَّ رَكْعَتَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِهِمَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: ‘‘আল্লাহর জন্যে দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করা’’ অর্থাৎ অপবিত্রতা দূর করার উপর এবং পবিত্রতা অর্জনের সক্ষমতার উপর আল্লাহ তা‘আলার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা।

আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে, এখানে ইঙ্গিত রয়েছে যে, উভয়টির উপর তিনি সর্বদাই ‘আমল করতেন। (بِهِمَا) এ ব্যাপারে আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এখানে তাসনিয়া বা দ্বিবচনের সর্বনাম (هُمَا) টি নিকটবর্তী দু’টো বিষয়কে নির্দেশ করে, তা হলো সর্বদা পবিত্র থাকা এবং পবিত্রতার কৃতজ্ঞতায় দু’ রাক্‘আত সালাতের মাধ্যমে তার পূর্ণতা দান করা।

আলোচ্য হাদীসে দলীল পাওয়া যায় যে, সবসময় পবিত্র থাকা মুস্তাহাব ও তার পুনঃপ্রতিদান হলো জান্নাতে প্রবেশ করা। কেননা পবিত্র অবস্থায় রাত যাপনের জন্য যে সর্বদা পবিত্রতা আবশ্যক করে এবং পবিত্র অবস্থায় রাত যাপন করে, তার আত্মা ‘আরশের নিচে সাজদায়রত থাকে যেমন বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ)-এর হাদীস থেকে বর্ণনা করেছেন এবং ‘আরশ (আরশ) হলো জান্নাতের সা‘দ।

আর আলোচ্য হাদীসের বাহ্যিক রূপ হলো যে, নিশ্চয় এ সাওয়াবটি ঐ ‘আমলের কারণেই পাওয়া যায়। তবে সেটার মাঝে ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা, ‘আমল তোমাদের কাউকেই জান্নাত প্রবেশ করাবে না এর মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই, কারণ এখানে হাদীস এবং আল্লাহ তা‘আলা কথা ‘‘তোমাদের ‘আমল এর মাধ্যমেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো’’- (সূরাহ্ আন্ নাহল ১৬ : ৩২)-এর সমাধানে বলা যায় যে, জান্নাতে প্রবেশ করাটা আল্লাহর রহমাতের হবে এবং জান্নাতে বিভিন্ন মর্যাদা ‘আমল অনুপাতেই হবে।

আর আলোচ্য হাদীসে এটাও প্রমাণিত হয় যে, জান্নাত এখনো বিদ্যমান রয়েছে, আর জান্নাতের বর্তমান বিদ্যমান থাকা অস্বীকার করে মু‘তাযিলা সম্প্রদায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ