৯২৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা

৯২৩-[৫] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করবে, তারাই কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন আমার পক্ষ থেকে বেশি নিকটে হবে। (তিরমিযী)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (اَوْلَى النَّاسِ بِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ) ‘‘ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন আমার অতি নিকটবর্তী লোক হবে।’’ অর্থাৎ- দুনিয়াতে যারা আমার প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করবে তারাই ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন আমার নিকটবর্তী হবে।

ইমাম ত্বীবী বলেনঃ তারাই হবে আমার খাস উম্মাত, আমার অতি নিকটবর্তী এবং আমার শাফা‘আতের অধিক হকদার। কেননা তার প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করাতে তার সাথে মুহাব্বাত ও ভালোবাসা সৃষ্টি করে। মা'নাবী (রহঃ) বলেনঃ তার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করা তাকে সত্যিকারে ভালোবাসার প্রমাণ বহন করে। আর দুনিয়াতে যিনি যাকে ভালোবাসবেন ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন তাঁর সাথেই তার হাশর হবে।

ইবনু হিব্বান অত্র হাদীস বর্ণনা করার পর বলেনঃ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, আহলুল হাদীসগণই ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন তার অতি নিকটবর্তী হবে। কেননা এ উম্মাতের মাঝে আহলুল হাদীসদের চাইতে কেউই তার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করে না। খত্বীব বাগদাদী বলেন, আবূ নু‘আয়ম বলেছেনঃ এ হাদীসটিতে হাদীস বর্ণনাকারীদের মর্যাদা উল্লেখিত হয়েছে। কেননা লিখনীতে ও যবানীতে তাদের চাইতে আর কোন দলই অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করে বলে জানা যায় না।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ