৭৯২

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৭৯২-[৩] আবূ হুমায়দ আস্ সা’ইদী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবীর মধ্যে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আপনাদের চেয়ে বেশি আমি মনে রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি, তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় দু্’ হাত দু’ কাঁধ বরাবর উঠাতেন। রুকূ’ করার সময় পিঠ নুইয়ে রেখে দু’ হাত দিয়ে দু’ হাঁটু শক্ত করে ধরতেন। আর মাথা উঠিয়ে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। এতে প্রতিটি গ্রন্থি স্ব-স্ব স্থানে চলে যেত। তারপর তিনি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করতেন। এ সময় হাত দু’টি মাটির সাথে বিছিয়েও রাখতেন না, আবার পাঁজরের সাথে মিশাতেনও না এবং দু’ পায়ের আঙ্গুলগুলোর মাথা ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী করে রাখতেন। এরপর দু’ রাক্’আতের পরে যখন বসতেন বাম পায়ের উপরে বসতেন ডান পা খাড়া রাখতেন। সর্বশেষ রাক্’আতে বাম পা বাড়িয়ে দিয়ে আর অপর পা খাড়া রেখে নিতম্বের উপর (ভর করে) বসতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ

وَعَن أبي حميد السَّاعِدِيّ قَالَ: فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا أَحْفَظُكُمْ لِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَيْتُهُ إِذَا كَبَّرَ جَعَلَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوَى حَتَّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلَا قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ الْقِبْلَةَ فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ على رجله الْيُسْرَى وَنصب الْيُمْنَى وَإِذا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

ব্যাখ্যা: এ হাদীসাংশে প্রমাণ রয়েছে যে, তাকবীর এর আগে হাত উঠানো। অর্থাৎ- হাত আগে উঠবে পরক্ষণে সাথে সাথে তাকবীর ও চলবে।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কান বরাবর হাত উঠাতেন ঐ সময় যখন সালাত শুরু করতেন। বুঝা গেল তাকবীর চলাকালীন অবস্থায় হাত উঠাতেন। বিবেকও ঐ দিকে ধাবিত হয় যে, তাকবীরের সাথে হাত উঠানো আর এক বর্ণনায় আছে, তিনি হাত উঠাতেন ঐ সময়ের মধ্যে যখন তাকবীর দিতেন।

ইমাম শাফি‘ঈ, মালিক, আহমাদ-এর মতে তাকবীর তাহরীমার সময় কাঁধ বরাবর হাত উঠাতে হবে। তারা এ হাদীস দিয়ে প্রমাণ পেশ করেন।

ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) উভয় হাদীসের মাঝে সমঝোতা করেছেন, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধ বরাবর হাত উঠালেন এমনকি তার হাতের আঙ্গুলের মাথাসমূহ তার কানের শাখা-প্রশাখার বরাবর হয়ে যেত অর্থাৎ- তার কানের চতুর্থ দিকে আঙ্গুলের মাথার কিনারা বরাবর হতো। বৃদ্ধা আঙ্গুল কানের লতির বরাবর এবং হাতের তালু কাঁধ বরাবর রেখে হাত উঠাতে হবে যাতে বৃদ্ধা আঙ্গুলের মাথা কান বরাবর হয় আর হাতের তালু কাঁধ বরাবর হয়ে যায়। তাতে উভয় হাদীসের উপর একসাথে ‘আমল করা সম্ভব হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ