৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৬৮-[১৫] ’উসমান ইবনু আবুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আমার জাতির ইমাম নিযুক্ত করে দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি তাদের ইমাম। তবে ইমামতির সময় তাদের সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রেখ। একজন মুয়াযযিন নিযুক্ত করে নিও, যে আযান দেবার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ قُلْتُ: يَا رَسُول الله اجْعَلنِي إِمَام قومِي فَقَالَ: «أَنْتَ إِمَامُهُمْ وَاقْتَدِ بِأَضْعَفِهِمْ وَاتَّخِذْ مُؤَذِّنًا لَا يَأْخُذُ عَلَى أَذَانِهِ أَجْرًا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের মাধ্যমে ইমামের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি আযানের বিনিময়ে বিনা পারিশ্রমিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, তুমি যাদের ইমামতি করবে তাদের দুর্বলদের প্রতি খেয়াল রাখো। জামা‘আতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লোক থাকে। যেমন- অসুস্থ, বয়োঃবৃদ্ধ ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে ইমাম সালাতকে ছোট করবে যাতে কোন আরকান-আহকাম ছুটে না যায়। ইমাম সাহেব সালাতের ক্বিরাআত (কিরআত) ও বিভিন্ন সময়ের তাসবীহ কমিয়ে দিয়ে সালাতকে সংক্ষেপ করবে। আমির আল ইয়ামিনী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, ভালো কাজের নেতৃত্ব চেয়ে নেয়া জায়িয। আলোচ্য হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, আযানের বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করা নাজায়িয। ‘আল্লামা খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, অধিকাংশ ‘উলামায়ে কিরামের রায় হলো, আযানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া মাকরূহ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ