৬১৮

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬১৮-[৩২] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একরাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করলাম। (সেদিন) তিনি অর্ধেক রাত পর্যন্ত মসজিদে এলেন না। [তিনি এসে] আমাদেরকে বললেন, তোমরা তোমাদের নিজ নিজ জায়গায় বসে থাকো। তাই আমরা বসে রইলাম। এরপর তিনি বললেন, অন্যান্য লোক সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছে। বিছানায় চলে গেছে। আর জেনে রেখো, তোমরা যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষা করবে, ততক্ষণ সময় সালাতে (রত থাকা) গণ্য হবে। আমি যদি বুড়ো, দুর্বল ও অসুস্থদের দিকে লক্ষ্য না রাখতাম তাহলে সর্বদা এ সালাত অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতাম। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْعَتَمَة فَلم يخرج إِلَيْنَا حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ فَقَالَ: «خُذُوا مَقَاعِدَكُمْ» فَأَخَذْنَا مَقَاعِدَنَا فَقَالَ: «إِنَّ النَّاسَ قد صلوا وَأخذُوا مضاجعهم وَإِنَّكُمْ لم تَزَالُوا فِي صَلَاةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلَاةَ وَلَوْلَا ضَعْفُ الضَّعِيفِ وَسَقَمُ السَّقِيمِ لَأَخَّرْتُ هَذِهِ الصَّلَاةَ إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, যদি মুসল্লীদের মধ্যে দুর্বল ব্যক্তি, রোগী কিংবা ব্যাস্ত মানুষ না থাকে তাহলে ‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করা সর্বোত্তম। ‘আল্লামা ইবনু হাজার আল্ আসক্বালানী (রহঃ) তাঁর ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) এর হাদীস এবং আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর পূর্বোক্ত হাদীস ‘‘আমি যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে ‘ইশার সালাতকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ বা অর্ধাংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করতে আদেশ দিতাম’’-এর সূত্রে বলা যায়, যে ব্যক্তি ‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করার ক্ষমতা রাখে এবং মুক্তাদী মুসল্লীদের জন্য কষ্টকরও হয় না, এমন অবস্থায় ‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করা সর্বোত্তম। ইমাম ত্বহাবী (রহঃ) বলেন, ‘ইশার সালাতকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করে আদায় করা মুস্তাহাব। ইমাম মালিক, আহমাদ এবং অধিকাংশ সাহাবী ও তাবি‘ঈ এ মতই পোষণ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ