২৫০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২৫০-[৫৩] হাসান আল বসরী (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বনী ইসরাঈলের দু’জন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তাদের একজন ছিলেন ’আলিম, যিনি ওয়াক্তিয়া ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর বসে বসে মানুষকে তা’লীম দিতেন। আর দ্বিতীয়জন দিনে সিয়াম পালন করতেন, গোটা রাত ’ইবাদাত করতেন। (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হল) এ দু’ ব্যক্তির মধ্যে মর্যাদার দিক দিয়ে উত্তম কে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওয়াক্তিয়া ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পরপরই বসে বসে যে ব্যক্তি তা’লীম দেয়, সে ব্যক্তি যে দিনে সিয়াম পালন করে ও রাতে ’ইবাদাত করে তার চেয়ে তেমন বেশী মর্যাদাবান। যেমন- তোমাদের একজন সাধারণ মানুষের ওপর আমার মর্যাদা। (দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْهُ مُرْسَلًا قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَجُلَيْنِ كَانَا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَحَدُهُمَا كَانَ عَالِمًا يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ ثُمَّ يَجْلِسُ فَيُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ وَالْآخِرُ يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ أَيُّهُمَا أَفْضَلُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَضْلُ هَذَا الْعَالِمِ الَّذِي يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ ثُمَّ يَجْلِسُ فَيُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ عَلَى الْعَابِدِ الَّذِي يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ

ব্যাখ্যা: (أَحَدُهُمَا كَانَ عَالِمًا) ‘‘তাদের একজন ‘আলিম ছিলেন।’’ অর্থাৎ- তার ‘ইবাদাতের চাইতে ‘ইলমের চর্চা বেশী ছিল।
(يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ) ‘‘ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতো।’’ অর্থাৎ- তার ওপর নির্ধারিত ফরয ‘ইবাদাত আদায় করতো। কিন্তু নফল ‘ইবাদাত করতো না।
(فَيُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ) ‘‘মানুষকে কল্যাণ শিক্ষা দিতো।’’ অর্থাৎ- পাঠ দান অথবা পুস্তক রচনার মাধ্যমে মানুষের মাঝে ‘ইল্মের চর্চা করত এবং তাদের ‘ইবাদাতের পদ্ধতি শিখাতো।
(يَصُومُ النَّهَارَ) ‘‘দিনে সিয়াম পালন করতো।’’ অর্থাৎ- সর্বদাই অথবা অধিকাংশ সময়ই দিনের বেলায় সিয়াম পালন করতো।
(وَيَقُومُ اللَّيْلَ) ‘‘রাতের বেলায় ‘ইবাদাত করতো।’’ অর্থাৎ- সারারাত জেগে অথবা রাতের আংশিক জেগে ‘ইবাদাতে মগ্ন থাকতো। কিন্তু ‘ইলমের চর্চা করতো না।
(أَيُّهُمَا أَفْضَلُ) ‘‘তাদের দু’জনের মধ্যকার মর্যাদা বেশী?’’ অর্থাৎ- কার সাওয়াব বেশী।
হাদীসটি থেকে বুঝা যায়, নফল ‘আমল অপেক্ষা দীনী বিদ্যা শিক্ষা ও মানুষকে শিখানো উত্তম কাজ।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ