১১২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান

১১২-[৩৪] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয় এবং যে মেয়েকে কবর দেয়া হয়, উভয়ই জাহান্নামী। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]

باب الإيمان بالقدر - الفصل الثاني

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الوائدة والموؤدة فِي النَّار . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 2


Ibn Mas'ud reported God’s messenger as saying, “The one who buries her daughter alive and the one who is buried alive go to hell.” Abu Dawud transmitted it.

ব্যাখ্যা: الْوَائِدَةُ অর্থাৎ- যারা জীবন্ত সন্তান দাফন করে। আর কেউ কেউ বলেছেন, ধাত্রী বা সন্তান প্রসবে সহায়তাকারিণী। মহিলাকে বিশেষ উল্লেখ করার কারণ হলো জীবন্ত সন্তান কবর দেয়ার কাজটি তাদের মাধ্যমে বেশী হয়।

‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী আল্ ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এটা ছিল দারিদ্র্যতার ভয়ে জাহিলী যুগে কিছু আরব গোত্রের ঘৃণ্যতর ভয়ানক স্বভাব।

ক্বাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেছেন, সন্তানকে জীবন্ত গোরস্থকারী তার কৃতকর্মের জন্য জাহান্নামী হবে। আর গোরস্থ সন্তানটি কুফরীর জন্য তার পিতা-মাতার অনুগামী হবে।

অথবা গোরস্থানের ব্যাপারে এমনটা বলা যোতে পারে যে, সে প্রাপ্তবয়স্কা কাফির ছিল অথবা অপ্রাপ্তবয়স্কই, তবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার ওয়াহী অথবা বিশেষ জ্ঞানের মাধ্যমেই তার সম্পর্কে জাহান্নামী হওয়ার মন্তব্য করেছেন। অতএব, এ মুহূর্তে الْوَائِدَةُ শব্দের আলিফ লামটি ইসতিগরাকী (তথা সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন) না হয়ে আহদ (তথা বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) হওয়া যুক্তিযুক্ত।

অতএব ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত অত্র হাদীসের মাধ্যমে এ কথা বলা যাবে না যে, মুশরিকদের সকল সন্তানই জাহান্নামী। কেননা এটা এক বিশেষ ঘটনা ছিল, অতএব সেটিকে সকল গোরস্থ সন্তানদের ওপর ব্যাপক অর্থে ধরা যাবে না। যদিও নিয়মানুপাতে শব্দের ব্যাপক অর্থের উপরই ‘আমল করতে হয়, তথাপি দু’ শ্রেণীর হাদীসের সমন্বয় সাধনের নিমেত্তেই এই প্রয়াস।