২৭৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১৮/১৪. আল্লাহর পথে (জিহাদের উদ্দেশে) ঘোড়া প্রতিপালন

৩/২৭৮৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘোড়ার কপালে বাঁধা রয়েছে কল্যাণ ও বরকত অথবা তিনি বলেছেনঃ কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ ও বরকত বাঁধা থাকবে। ঘোড়া তিন ধরনেরঃ একজনের জন্য তা সওয়াব বয়ে আনে, একজনের জন্য তা পর্দাস্বরূপ; আরেক জনের জন্য তা পাপের কারণ হয়। ঘোড়া তার জন্য সওয়াব বয়ে আনেঃ যে লোক আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য তা পোষে এবং একে সেজন্য প্রস্তুত করে রাখে। সেই ঘোড়ার পেটে যা কিছু যায় তার জন্যও তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়। যদি তার ঘোড়া চারণভূমিতে চরায় তবে ঘোড়া যা কিছুই খায় তার বিনিময়ে তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়।

সে যদি ঘোড়াকে বহমান নদীর পানি পান করায় তবে তার পেটে যাওয়া প্রতিটি ফোঁটা পানির বিনিময়েও তার আমলনামায় একটি করে সওয়াব লেখা হয়। এমনকি তিনি ঘোড়ার পেশাব ও গোবরের বিনিময়েও সওয়াব হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। আর তা যদি একটি বা দু’টি টিলা অতিক্রম করে তবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়। আর যে লোক ঘোড়া পোষে সম্মান ও সৌন্দর্যের উপকরণস্বরূপ তা তার জন্য আবরণ। অবশ্য সে তার ঘোড়ার সহজ বা কঠিন কর্তব্য বিস্মৃত হয় না। আর ঘোড়া যার জন্য পাপের কারণঃ যে লোক ঘোড়া পোষে অহংকারবশে ও প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে, তা তার জন্য পাপের কারণ হয়। তার জন্য ঘোড়া শাস্তিস্বরূপ।

بَاب ارْتِبَاطِ الْخَيْلِ فِي سَبِيلِ اللهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْرُ - أَوْ قَالَ الْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا قَالَ سُهَيْلٌ أَنَا أَشُكُّ الْخَيْرُ - إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ فَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَيُعِدُّهَا لَهُ فَلاَ تُغَيِّبُ شَيْئًا فِي بُطُونِهَا إِلاَّ كُتِبَ لَهُ أَجْرٌ وَلَوْ رَعَاهَا فِي مَرْجٍ مَا أَكَلَتْ شَيْئًا إِلاَّ كُتِبَ لَهُ بِهَا أَجْرٌ وَلَوْ سَقَاهَا مِنْ نَهَرٍ جَارٍ كَانَ لَهُ بِكُلِّ قَطْرَةٍ تُغَيِّبُهَا فِي بُطُونِهَا أَجْرٌ - حَتَّى ذَكَرَ الأَجْرَ فِي أَبْوَالِهَا وَأَرْوَاثِهَا - وَلَوِ اسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كُتِبَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ تَخْطُوهَا أَجْرٌ ‏.‏ وَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا تَكَرُّمًا وَتَجَمُّلاً وَلاَ يَنْسَى حَقَّ ظُهُورِهَا وَبُطُونِهَا فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا ‏.‏ وَأَمَّا الَّذِي هِيَ عَلَيْهِ وِزْرٌ فَالَّذِي يَتَّخِذُهَا أَشَرًا وَبَطَرًا وَبَذَخًا وَرِياءً لِلنَّاسِ فَذَلِكَ الَّذِي هِيَ عَلَيْهِ وِزْرٌ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “There is goodness in the forelocks of horses” – or he said: “There is goodness tied in the forelocks of horses.” Suhail (one of the narrators) said: “I am not certain of” – “until the Day of Resurrection. And horses are of three types: those that bring reward to a man, those that are a means of protection for a man, and those that are a burden (of sin) for a man. As for those that bring reward, a man keeps them in the cause of Allah and keeps them constantly ready (for Jihad), so they do not take any fodder into their stomachs but a reward will be written for him, and if he puts them out to pasture, they do not eat anything but reward will be written for him. If he gives them to drink from a flowing river, for every drop that enters their stomachs there will be reward,” (continuing) until he mentioned reward in conjunction with their urine and droppings, and even when they run here and there by themselves, for each step they take a reward will be written for him – ‘As for those that are a means of protection, a man keeps them because they are a source of dignity and adornment, but he does not forget the rights of their backs and stomachs (i.e., their right not to be overworked and their right to be fed) whether at times of their difficulty or ease. As for those that bring a burden (of sin), the one who keeps them for purposes of wrongdoing or for pomp and show before people, is the one for whom they bring a burden of sin.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ