৩৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে

৩৫৩৬। যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাযিঃ)-এর কাছে আসলাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানের সন্ধানে। তিনি বললেন, আমি অবগত হয়েছি যে, জ্ঞান অন্বেষণকারীর কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফেরেশতাগণ তার জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন। যির (রাহঃ) বলেন, মলমূত্র ত্যাগের পর মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ করা প্রসঙ্গে আমার মনে একটা দ্বিধার সঞ্চার হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আপনি এ প্রসঙ্গে কিছু জানেন কি?

তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদেরকে তিনি হুকুম দিয়েছেন যে, আমরা সফররত অবস্থায় নাপাকির গোসলের প্রয়োজন না হলে যেন তিন দিন ও তিন রাত পর্যন্ত আমাদের মোজা না খুলি। মলমূত্র ত্যাগ ও ঘুমানোর কারণেও তা খোলার প্রয়োজন নেই। যির (রাহঃ) বলেন, আমি পুনরায় বললাম, আপনি ভালবাসা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছু জানেন কি?

তিনি বললেন, হ্যাঁ। কোন এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। লোকদের একেবারে পেছন হতে এক লোক খুব উচ্চস্বরে তাকে ডাক দিল। লোকটি নির্বোধ বেদুঈন ও রুক্ষ ছিল। সে বলল, হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ! লোকেরা তাকে বলল, থাম! এভাবে আল্লাহ তা’আলার নবীকে সম্বোধন করতে তোমাকে (কুরআনে) বারণ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাকে তার ন্যায় উচ্চস্বরে উত্তর দিলেনঃ আস।

লোকটি বলল, এক লোক কোন গোত্রকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের সঙ্গে সে মিলিত হতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন লোক যাকে ভালবাসে সে তার সাথী হবে।

যির (রাহঃ) বলেন, আমার সঙ্গে সাফওয়ান (রাযিঃ) অবিরত কথা বলে যাচ্ছিলেন। পরিশেষে তিনি আমাকে বললেন, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা’আলা তাওবার জন্য পাশ্চাত্যে একটি দরজা রেখেছেন, যার এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের ব্যবধান সত্তর বছরের। সূর্য সেদিক হতে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সেই দরজা বন্ধ হবে না। আর সে কথার প্রমাণ প্রাচুর্যময় মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী (অনুবাদ) “এমন একদিন সংঘটিত হবে যে দিন তোমার প্রভুর কিছু নিদর্শন আসবে, সেই দিন কোন লোকের ঈমান তার কাজে আসবে না যে আগে কখনো ঈমান আনেনি”।

সানাদ সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَفْعَلُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا ‏.‏ فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ ‏:‏ ‏(‏ يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Zirr bin Hubaish said: “I came to Safwan bin `Assal Al-Muradi so he said to me: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘It has been conveyed to me that the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is doing.’” He said: “So I said to him: ‘Indeed there is something wavering’ - or - ‘some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation. So have you retained anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning that?’ He said: ‘Yes, when we were travelers, he (ﷺ) used to order us not to remove our Khuff for three days and nights, except from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “So I said: ‘So have you memorized anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning love?’ He said: ‘Yes, we were in one of our journeys with the Messenger of Allah (ﷺ) when a man, a harsh, foolish Bedouin, who had been at the end of the group, called him with a loud voice, saying: “O Muhammad! O Muhammad!” So the people said to him “Mah! Indeed, you have been prohibited from this.” So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with similar to his voice: “Come.” So he said: “A man loves a people but he has not reached them?” He said: ‘So the Messenger of Allah (ﷺ) said: “A man is with whomever he loves.”’ Zirr said: “He did not cease reporting to me until he had reported that Allah, the Mighty and Sublime, has appointed a gate in the west - its width is the distance of a seventy-year journey - for repentance: it shall not be locked until the sun rises from its direction, and that is the Statement of Allah, Blessed be He and Most High, of the Ayah: The Day some of the signs of your Lord come, no soul shall be benefited by its believing.”