পরিচ্ছেদঃ ১৪/২. অধ্যায়ঃ বিতরের ওয়াক্ত।
                      
                        
                    
                      
                      
                      
                    قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَوْصَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْوِتْرِ قَبْلَ النَّوْمِ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায়ের আদেশ দিয়েছেন।
৯৯৫. আনাস ইবনু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাযি.)-কে বললাম, ফজরের পূর্বের দু’ রাকআতে আমি কিরাআত দীর্ঘ করব কি-না, এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে দু’ দু’ রাক‘আত করে সালাত আদায় করতেন এবং এক রাক‘আত বিতর আদায় করতেন।* অতঃপর ফজরের সালাতের পূর্বে তিনি দু’ রাক‘আত এমনভাবে আদায় করতেন যেন ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ের শব্দ তাঁর কানে আসছে। রাবী হাম্মাদ (রহ.) বলেন, অর্থাৎ তাড়াতাড়ি। (৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৪১)
 
                    
                                           * বিত্র অর্থ বে-জোড়। রাতের সালাতকে বে-জোড় করার জন্য বিত্র পড়া হয়। বিত্রকে আল্লাহ পছন্দ করেন, কেননা আল্লাহ বিত্র। বিত্র বা বেজোড় সংখ্যা অনেকগুলো। যার মধ্যে তিন সংখ্যায়ও বে-জোড় আছে। কিন্তু আল্লাহ এক সংখ্যায় বে-জোড় বিধায় বিত্র এক সংখ্যা বে-জোড় অনুসারে পড়তে হয়। যেমন তিন, কিন্তু শুধু তিন সংখ্যাটিই যে এক সংখ্যায় বেজোড় তা নয়। বরং এক, তিন, পাঁচ, সাত ও নয় এই পাঁচটি সংখ্যাই এক মাত্র এক সংখ্যায় বে-জোড়। এই সংখ্যাগুলোর যে কোন একটি অনুসারে বিত্র পড়া যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহ এক সংখ্যায় বে-জোড় এবং একজনই। তিনজন বা পাঁচ, সাতজন নয়। সুতরাং এক রাক‘আত বিত্র পড়া অতি উত্তম। তবে তিন, পাঁচ, সাত ও নয় রাক‘আত পড়ার কথাও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
এক রাকা‘আত, তিন রাক‘আত ও পাঁচ রাক‘আত বিতরের দলীল
১২৪৭-১২৪৮. حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو مِجْلَزٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوِتْرُ رَكْعَةٌ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ
‘আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন বিত্র হল এক রাক‘আত রাতের শেষাংশে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنِي قُرَيْشُ بْنُ حَيَّانَ الْعِجْلِيُّ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوِتْرُ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُوتِرَ بِخَمْسٍ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُوتِرَ بِثَلَاثٍ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُوتِرَ بِوَاحِدَةٍ فَلْيَفْعَلْ رواه ابوداؤد في الباب كم الوتر حـ ১২১২، النسائي في الكتاب قيام الليل وتطوع النهار، ابن ماجهز
আবু আইউব আন্সারী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন বিত্র প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জরুরী। অবশ্য যে পাঁচ রাক‘আত বিত্র পড়তে পছন্দ করে সে তা করতে পারে। আর যে তিন রাক‘আত বিত্র পড়তে পছন্দ করে সে তা করতে পারে। যে এক রাক‘আত বিত্র পড়তে পছন্দ করে সে তা করতে পারে।
(বুখারী ১৩৫,১৫৩ পৃৃষ্ঠা। মুসলিম ২৫৩, ২৫৪, ২৫৫, ২৫৬ পৃষ্ঠা। আবূ দাঊদ ২০১, পৃষ্ঠা। নাসাঈ ২৪৬,২৪৭ পৃষ্ঠা। তিরমিযী ১ম খণ্ড ১০৬ পৃৃষ্ঠা। মেশকাত ১১১,১১২ পৃৃষ্ঠা। বুখারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ৯৩২,৯৩৪,৯৩৬। বুখারী আযীযুল হক হাদীস নং ৫৪০। বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম খণ্ড হাদীস নং ৯৩২,৯৩৪,৯৩৬। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ৩য় খণ্ড ও মাদ্রাসাহ পাঠ্য ২য় খণ্ড হাদীস নং ১১৮৫,১১৮৬,১১৯৬।)
উল্লেখ্য যে, অনেকের ধারণা যে, এক রাক‘আত কোন ছলাত নেই। উল্লেখিত হাদীছ দ্বারা উক্ত ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়। উক্ত হাদীছ ছাড়াও এখানে আরো অনেক হাদীছ রয়েছে। সাহাবীগণের আমলেও এক রাক‘আত দ্বারা বিতর পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। উসমান (রাযি.) এক রাত্রে এক রাক‘আতের দ্বারা কিয়াম করেছেন। এমনিভাবে সা‘দ ও মু‘আবিয়াহ (রাযি.) এক রাক‘আত দ্বারা বিতর পড়েছেন বলে সহীহ্ সানাদে প্রমাণিত হয়েছে। (ফাতহুল বারী ২/৫৫৯ পৃষ্ঠা)
                                             
                                          
                   
                  
                                      
                                              بَاب سَاعَاتِ الْوِتْرِ 
                                              أَبُو النُّعْمَانِ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ أَرَأَيْتَ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ أُطِيلُ فِيهِمَا الْقِرَاءَةَ فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى  الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ وَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ وَكَأَنَّ الْأَذَانَ بِأُذُنَيْهِ قَالَ حَمَّادٌ أَيْ سُرْعَةً.