১৩৭৭

পরিচ্ছেদঃ কুড়ানো বস্তু ও হারানো উট ও ছাগল প্রসঙ্গে।

১৩৭৭. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ....... যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, কুড়ানো মাল সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেন, একবছর তা ঘোষণা দিবে। যদি (মালিকের) পরিচয় পাওয়া যাও তবে তাকে তা দিয়ে দিবে, তা না হলে, এর থলি, মুখ বাধার ফিতা ও পরিমাণ চিনে রাখবে। এরপর তুমি তা ভোগ করতে পার। পরে যদি এর প্রকৃত মালিক আসে তবে তা আদায় করে দিও। - ইবনু মাজাহ ২৫০৭, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৭৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে উবায় ইবনু কা’ব, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, জারূদ ইবনুল মুআল্লা, ইয়ায ইবনু হিমার ও জারির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, যায়দ ইবনু খালিদ-এর হাদীসটি হাসান। এই সূত্রে গারীব। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেন, অত্র বিষয়ে এই হাদীসটি হল সবচে সহীহ।

কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। তারা কুড়ানো মাল এক বছর পর্যন্ত ঘোষনা প্রদানের পরও যতি মালিক না পাওয়া যায় তবে প্রাপককে তা ভোগ করার অনুমতি প্রদান করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত।

কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমের অভিমত হল, এক বছর এই বিষয়ে ঘোষনা প্রদান করবে। যদি প্রকৃত মালিক আসে তবেতো ভাল, আর যদি না আসে তবে সে তা সাদকা করে দিবে। এ হল ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত। প্রাপক যদি ধনি হয় তবে তার জন্য কুড়ানো সম্পদ ভোগ করা তারা জায়েয বলে মনে করেন না।

ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, ধনী হলেও সে তা ভোগ করতে পারবে। কেননা, উবাই ইবনু কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে একটি থলি পেয়েছিলেন। এতে ছিল একশত দ্বীনার বা স্বর্ণ মুদ্রা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এটির ঘোষনা দিতে এবং পরে (মালিক পাওয়া না গেলে নিজই) তা ভোগ করার কথা বলেন। উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রচুর ধন-সম্পদ-এর মালিক ছিলেন। তিনি ছিলেন ধনাঢ্য সাহাবীদের অন্যতম। তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ঘোষনা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি যখন মালিককে পেলেন না তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকেই তা ভোগ করার অনুমতি দেন। সাদকা গ্রহণ করা যাদের জন্য হালাল তাদের ছাড়া আর কারো জন্যে যদি (মালিক না পাওয়া অবস্থায়ও) কুড়ানো সম্পদ হালাল না হত তবে তো তা আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর জন্যও হালাল হতো না। কেননা, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে একটি দ্বীনার পান। তিনি এতদসম্পর্কে ঘোষণা প্রদানের পরও এর প্রকৃত মালিক পাওয়া গেল না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তাকে ভোগ করতে অনুমতি দেন। অথচ আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু (হাশিমী হওয়ায়) এমন ছিলেন যে তার জন্য সাদকা গ্রহণ হালাল ছিল না।

কতক আলিম কুড়ানো মাল যদি সামান্য হয় (যে সাধারণত মালিক আর তালাশ করে না যেমন চার আনা পয়সা ইত্যাদি) তবে তা ঘোষনা না দিয়ে প্রাপককে নিজে ভোগ করার অনুমতি দিয়েছেন। কতক আলিম বলেন, কুড়ানো সম্পদে পরিমাণ যদি এক দ্বীনারের কম হয় তবে তা এক সপ্তাহ ঘোষণা দিবে। এ হল ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ)-এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي اللُّقَطَةِ وَضَالَّةِ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ ‏ "‏ عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالْجَارُودِ بْنِ الْمُعَلَّى وَعِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ هَذَا الْحَدِيثُ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَرَخَّصُوا فِي اللُّقَطَةِ إِذَا عَرَّفَهَا سَنَةً فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يُعَرِّفُهَا سَنَةً فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا وَإِلاَّ تَصَدَّقَ بِهَا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ لَمْ يَرَوْا لِصَاحِبِ اللُّقَطَةِ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا إِذَا كَانَ غَنِيًّا ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يَنْتَفِعُ بِهَا وَإِنْ كَانَ غَنِيًّا لأَنَّ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ أَصَابَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا ثُمَّ يَنْتَفِعَ بِهَا وَكَانَ أُبَىٌّ كَثِيرَ الْمَالِ مِنْ مَيَاسِيرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْكُلَهَا فَلَوْ كَانَتِ اللُّقَطَةُ لَمْ تَحِلَّ إِلاَّ لِمَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ لَمْ تَحِلَّ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لأَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَصَابَ دِينَارًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَّفَهُ فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَكْلِهِ وَكَانَ لاَ يَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَتِ اللُّقَطَةُ يَسِيرَةً أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا وَلاَ يُعَرِّفَهَا ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ دُونَ دِينَارٍ يُعَرِّفُهَا قَدْرَ جُمُعَةٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏


Zaid bin Khalid Al-Juhni narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) was asked about the lost item. He said: "Make a public announcement about it for one year, if it is claimed then give it to him. Otherwise remember its sack, string, and its count. Then use it, and if its owner comes, give it to him."