১১০২

পরিচ্ছেদঃ ওলী ছাড়া বিয়ে হয় না।

১১০২. ইবনু আবী উমার (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন, যে কোন মহিলা তার ওলীর অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। যদি এরপর স্বামী-তার সাথে সঙ্গত হয় তবে স্ত্রী মহরানার হকদার হবে। যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে। ওলীরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে, শাসকই ওলী হবে, যার ওলী নেই। - ইরওয়া ১৮৪০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ আনসারী, ইয়াহ্ইয়া ইবনু আয়্যূব ও সুফইয়ান ছাওরী প্রমুখ হাফিজিুল হাদীস ইবনু জুরায়জ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবূ মূসা বর্ণিত হাদীসটির (১১০২ নং) সনদে বর্ণনা বিরোধ রয়েছে। ইসরাঈল শরীক ইবনু আবদুল্লাহ, আবূ আওয়ানা, যুহায়র ইবনু মুআবিয়া, কায়স ইবনু রাবী (রহঃ) এটিকে আবূ ইসহাক- আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ ও যায়দ ইবনু হুবাব (রহঃ) এটিকে ইঊনুস ইবনু আবূ ইসহাক- আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

আবূ উবায়দা হাদ্দাদ (রহঃ) এটিকে ইঊনুস ইবনু আবূ ইসহাক- আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আবূ ইসহাক (রহঃ)-এর উল্লেখ করেন নি। ইঊনুস ইবনু আবূ ইসহাক- আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা আছে। শু’বা, ছাওরী (রহঃ) আবূ ইসহাক আবূ বুরদা (রহঃ) সুত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, ওলী ছাড়া বিবাহ হয় না। সুফইয়ান (রহঃ)-এর কতক শাগরীদ এটিকে সুফইয়ান- আবূ ইসহাক- আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তা সহীহ্ নয়।

আমার মতে আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে যারা আবূ বুরদা- আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, ওলী ছাড়া বিবাহ হয় না।’ তাদের রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ। কেননা, তাঁরা আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে এটিকে বিভিন্ন সময়ে শূনেছেন। যদিও শু’বা ও ছাওরী অধিকতর স্মরণশক্তি সম্পন্ন এবং অধিকতর নির্ভরযোগ্য যারা এ হাদীসটি আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে রিওয়ায়ত করেছেন তাদের তুলনায়, তবে তাঁদের সকলের রিওয়ায়াতই আমার মতে অধিকতর সহীহ ও পরস্পর সমঞ্জস্যপূর্ণ। শুবা এবং ছাওরী (রহঃ) উভয়েই এই হাদীসটি আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে এক মজলিসে শুনেছেন। মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ)-এর রিওয়াতে এর প্রমাণ রয়েছে। মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) বলেন, আবূ দাউদ বলেছেন যে, শু’বা (রহঃ) বলেছেন, আমি সুফইয়ান ছাওরী কর্তৃক আবূ ইসহাক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করতে শুনেছি, আপনি কি আবূ বুরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ওলী ছাড়া বিবাহ হয় না? তিনি তখন বললেন, হ্যাঁ। সুতরাং এই রিওয়ায়াতটি প্রমাণ করে যে, শু’বা ও ছাওরী (রহঃ) এই হাদীসটি একই সময়ে শুনেছেন।

রাবী ইসরাঈল (রহঃ) আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে রিওয়াতের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। মুহাম্মাদ ইবনু মুছান্না (রহঃ) বলেন যে, আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ইসরাঈল (রহঃ)-এর উপর যখন থেকে নির্ভর করেছি তখন থেকেই আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত ছাওরীর রিওয়ায়াত সমূহ আমার ছুটে গেছে। কারণ, ইসরাঈল (রহঃ) আবূ ইসহাক (রহঃ) এর রিওয়ায়াত পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা করতেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ’’ওলী ব্যতীরেকে বিবাহ হয় না।’’ এই হাদীসটি হাসান। ইবনু জুরায়জ এটিকে সুলায়মান ইবনু মূসা- যুহরী- উরওয়া আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

হাজ্জাজ ইবনু আরতাত ও জা’ফার ইবনু রাবীআ (রহঃ) এটিকে যুহরী-উরওয়া আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। কোন কোন মুহাদ্দিছ যুহরী, উরওয়া, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসটির সনদের সমালোচনা করেছেন। ইবনু জুরায়জ বলেন, ’’পরবর্তীতে আমি যুহরী (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি তখন এটি অস্বীকার করেন।’’ এই কারণে মুহাদ্দীসগণ এই রিওয়ায়াতটিকে যঈফ বলেছেন।

ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন (রহঃ) থেকে উল্লেখিত আছে যে, তিনি বলেন একমাত্র ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম (রহঃ)-ই ইবনু জুরায়জ (রহঃ) বরাতে উক্ত বক্তব্যটির উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমের কিছু শ্রবণ তেমন প্রমাণিত নয়। আবদুল মাজীদ ইবনু আবদুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদ (রহঃ)-এর কিতাব থেকে নিজের কিতাব সংশোধন করেছেন। তিনি (ইসমাঈল) ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে কিছুই শোনেন নি। ইবনু জুরায়জ (রহঃ) এর বরাতে বর্ণিত ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমের রিওয়ায়াত সমূহকে ইয়াহইয়া (রহঃ) যঈফ বলেছেন। উমর ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবী তালিব, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমূখ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহলে ইলম সাহাবীগণ ’’ওলী ব্যতীরেকে বিবাহ হয় না’’ শীর্ষক হাদীসটির উপর আমল করেছেন। কোন কোন তাবিঈ থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত আছে। তাঁরা বলেছেন, ওলী ব্যতিরেকে বিবাহ হয় না। এদের মধ্যে রয়েছেন, সাঈদ ইবনু মূসায়্যাব, হাসান বসরী, শুরায়হ, ইবরাহীম নাখঈ, উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) প্রমূখ। সুফইয়ান ছাওরী, আওযাঈ, মালিক, আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এরও এই অভিমত।

باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ دَخَلَ بِهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا فَإِنِ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لاَ وَلِيَّ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي مُوسَى حَدِيثٌ فِيهِ اخْتِلاَفٌ رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ وَشَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبُو عَوَانَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ وَقَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى أَبُو عُبَيْدَةَ الْحَدَّادُ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُ أَصْحَابِ سُفْيَانَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى ‏.‏ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ وَرِوَايَةُ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ عِنْدِي أَصَحُّ لأَنَّ سَمَاعَهُمْ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي أَوْقَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ وَإِنْ كَانَ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ أَحْفَظَ وَأَثْبَتَ مِنْ جَمِيعِ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ فَإِنَّ رِوَايَةَ هَؤُلاَءِ عِنْدِي أَشْبَهُ لأَنَّ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيَّ سَمِعَا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يَسْأَلُ أَبَا إِسْحَاقَ أَسَمِعْتَ أَبَا بُرْدَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّ سَمَاعَ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَإِسْرَائِيلُ هُوَ ثِقَةٌ ثَبْتٌ فِي أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُثَنَّى يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَا فَاتَنِي مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الَّذِي فَاتَنِي إِلاَّ لَمَّا اتَّكَلْتُ بِهِ عَلَى إِسْرَائِيلَ لأَنَّهُ كَانَ يَأْتِي بِهِ أَتَمَّ ‏.‏ - وَحَدِيثُ عَائِشَةَ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ حَدِيثٌ عِنْدِي حَسَنٌ ‏.‏ رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَجَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُهُ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ ثُمَّ لَقِيتُ الزُّهْرِيَّ فَسَأَلْتُهُ فَأَنْكَرَهُ ‏.‏ فَضَعَّفُوا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَجْلِ هَذَا ‏.‏ وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّهُ قَالَ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ إِلاَّ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَسَمَاعُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ لَيْسَ بِذَاكَ إِنَّمَا صَحَّحَ كُتُبَهُ عَلَى كُتُبِ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ مَا سَمِعَ مِنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَضَعَّفَ يَحْيَى رِوَايَةَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ‏.‏ - وَالْعَمَلُ فِي هَذَا الْبَابِ عَلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَغَيْرُهُمْ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏.‏ مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَشُرَيْحٌ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَغَيْرُهُمْ وَبِهَذَا يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالأَوْزَاعِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏


Aishah narrated that: The Messenger of Allah said: "Whichever woman married without the permission of her Wali her marriage is invalid, her marriage is invalid, her marriage is invalid. If he entered into her, then the Mahr is for her in lieu of what he enjoyed from her private part. If they disagree, then the Sultan is the Wali for one who has no Wali."