৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ সাদাকার ফযীলত।

৬৫৯. আবূ কুবায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আ’লা (রাঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ অবশ্যই সাদাকা কবুল করেন। আর তিনি তা তাঁর ডান হাতে গ্রহণ করেন এবং তোমাদের জন্য লালন করতে থাকেন, যেমন তোমাদের কেউ বাচ্চা লালন করে; এমনকি একটি লুকমা (পরিমান দান) উহুদ পাহাড়ের সমান হয়ে যায়। এ বিষয়ে কিতাবুল্লাহর সমর্থন রয়েছে। ইরশাদ হলোঃ (অর্থ) ’’তিনি বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং সাদাকা গ্রহণ করেন।’’ (৯: ১০৪)। (অর্থ ) আল্লাহ্ সুদ নিশ্চি‎‎হ্ন করেন এবং সাদাকা বর্ধিত করেন’’। (২: ২৭৬)। - হাদিসের বর্ধিত অংশ এ বিষয়ে কিতাবুল্লাহর সমর্থন রয়েছে.........। মুনকার। ইরওয়া ৩/৩৯৪, তা’লীকুর রাগীব ২/১৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিসটি সহীহ্। আয়িশা (রাঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদিস বর্ণিত আছে। এই হাদিস এবং আরো এই ধরণের যে সমস্ত হাদীছে আল্লাহর সিফাত বা প্রত্যেক রাতে পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে আল্লাহ তা’আলার অবতরণ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। যে সকল হাদিস সম্পর্কে একাধিক বিশেষজ্ঞ আলিমের বক্তব্য হল যে, এই ধরণের রিওয়ায়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত। এগুলো সম্পর্কে বিশ্বাস রাখতে হবে। এই সব বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না এবং তা কি ধরণের সে সম্পর্কেও প্রশ্ন করা যাবে না। ইমাম মালিক ইবনু আনাস, সুফিয়ান ইবনু উআয়না, আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) প্রমুখ ইমামদের থেকে এই ধরণের বক্তব্য বর্ণিত আছে। এই ধরণের হাদিসগুলো সম্পর্কে তাঁরা বলেন, কি ধরণের? সে প্রশ্ন না তুলে যেভাবে উল্লিখিত হয়েছে সেভাবেই তা মেনে নাও। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আলিমগণ এ অভিমতই পোষণ করেন।

কিন্তু জাহামীয়্যা সম্প্রদায় এই সমস্ত রিওয়ায়াত অস্বীকার করেন; তারা বলে, এগুলো তো হল উপমাবোধক। আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাব কুরআন মজিদে বিভিন্ন স্থানে اليد (হাত) السمع (কর্ণ) البصر (চক্ষু) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন। জাহমিয়্যা সম্প্রদায় এই আয়াতসমূহের রূপক অর্থ করে থাকে এবং আলিমদের ব্যাখ্যার বিপরীত এগুলোর ব্যাখ্যা করে থাকে। তারা বলে যে, আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে তাঁর হাত দিয়ে বানাননি। তারা বলে এখানে ’হাত’ অর্থ হল ’শক্তি’। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, যদি (মানুষের) হাতের মত (আল্লাহর) হাত বা হাতের অনুরূপ হাত কিংবা (মানুষের) কানের মত (আল্লাহর) কান বা কানের অনুরূপ বলা হত তবে তা আল্লাহর সঙ্গে (সৃষ্টি বিষয়ের) উপমা প্রদান বলে গণ্য হত। কিন্তু আল্লাহ্ যখন বলেনيد (হাত)سمع কর্ণ,بصر চক্ষু, তখন তা সা’দৃশ্য বলে বিবেচিত হয় না। কারণ এখানে এর রকম বা অনুরূপ বা মত এই কথা বলা হয়নি। এটি এমন, যেমন আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে ইরশাদ করেছেনঃ কোন কিছুই তাঁর সা’দৃশ্য নয়; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ وَيَأْخُذُهَا بِيَمِينِهِ فَيُرَبِّيهَا لأَحَدِكُمْ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ مُهْرَهُ حَتَّى إِنَّ اللُّقْمَةَ لَتَصِيرُ مِثْلَ أُحُدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَتَصْدِيقُ ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏وهُوَ الَّذِي يَقبَلُ التَّوبَةَ عَنْ عِبَادِهِ ‏)‏ ويَأْخُذُ الصَّدَقَاتِ‏‏ ‏(يَمْحَقُ الله الرَّبَا ويُرْبِي الصَّدَقَاتِ‏)‏‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوُ هَذَا. وَقَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا يُشْبِهُ هَذَا مِنَ الرِّوَايَاتِ مِنَ الصِّفَاتِ وَنُزُولِ الرَّبِّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالُوا قَدْ تَثْبُتُ الرِّوَايَاتُ فِي هَذَا وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ يُتَوَهَّمُ وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ هَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُمْ قَالُوا فِي هَذِهِ الأَحَادِيثِ أَمِرُّوهَا بِلاَ كَيْفٍ. وَهَكَذَا قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ. وَأَمَّا الْجَهْمِيَّةُ فَأَنْكَرَتْ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ وَقَالُوا هَذَا تَشْبِيهٌ. وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ الْيَدَ وَالسَّمْعَ وَالْبَصَرَ فَتَأَوَّلَتِ الْجَهْمِيَّةُ هَذِهِ الآيَاتِ فَفَسَّرُوهَا عَلَى غَيْرِ مَا فَسَّرَ أَهْلُ الْعِلْمِ وَقَالُوا إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَخْلُقْ آدَمَ بِيَدِهِ. وَقَالُوا إِنَّ مَعْنَى الْيَدِ هَاهُنَا الْقُوَّةُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِنَّمَا يَكُونُ التَّشْبِيهُ إِذَا قَالَ يَدٌ كَيَدٍ أَوْ مِثْلُ يَدٍ أَوْ سَمْعٌ كَسَمْعٍ أَوْ مِثْلُ سَمْعٍ. فَإِذَا قَالَ سَمْعٌ كَسَمْعٍ أَوْ مِثْلُ سَمْعٍ فَهَذَا التَّشْبِيهُ وَأَمَّا إِذَا قَالَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى يَدٌ وَسَمْعٌ وَبَصَرٌ وَلاَ يَقُولُ كَيْفَ وَلاَ يَقُولُ مِثْلُ سَمْعٍ وَلاَ كَسَمْعٍ فَهَذَا لاَ يَكُونُ تَشْبِيهًا وَهُوَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: (لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ).


Abu Hurairah narrated that : the Messenger of Allah said: "Indeed Allah accepts charity, and He accepts it with His Right (Hand) to nurture it for one of you, just like one of you would nuture his foal, until the bite (of food) becomes as large as Uhud." The Book of Allah, the Mighty and Sublime testifies to that: 'He accepts repentance from His worshipers, and accepts charity.'And: 'Allah will destroy Riba and give increase for charity.' (Abu Eisa) said: This Hadith is (Hasan) Sahih.