২৭

পরিচ্ছেদঃ কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া।

২৭. কুতায়বা (রহঃ) ..... সালমা ইবনু কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে তখন নাকে পানি ঢেলে তা ঝেড়ে ফেলবে। আর কুলুখ ব্যবহার করলে তা বেজোড় সংখ্যায় করবে। - ইবনু মাজাহ ৪০৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ’উছমান, লাকীত ইবনু সাবিরা, ইবনু ’আব্বাস, মিকদাম ইবনু মা’দী কারিব, ওয়াইল ইবনু হুজর ও আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, সালমা ইবনু কায়স বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান এবং সহীহ। নাকে পানি দেওয়া ও কুলি করা ছেড়ে দিলে তার বিধান সম্পর্কে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাঁদের একদল বলেন , কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া ছেড়ে দিয়ে কেউ যদি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে এবং সে উযূ (ওজু/অজু/অযু) দিয়ে সালাত আদায় করে তবে তাকে সালাত পূনরায় আদায় করতে হবে। উযূ ও ফরয গোসল উভয়ক্ষেত্রে বিধান একই। ইবনু আবী লায়লা, ’আবদুল্লাহ ইবনু ইবনু মুবারক, আহমদ, ইসহাক এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম আহমদ বলেন, কুলি করা অপেক্ষা নাকি পানি দেয়ার বিষয়টি অধিকতর তাকীদপূর্ণ। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেন, ’আলিমদের অপর একদল বলেন, এমতাস্থায় ফরয গোসল পুনারায় করতে হবে; উযূ পুনারায় করতে হবে না। সুফইয়ান ছাওরী এবং কূফাবাসী আলিমগণের কারো মত অনুরূপ। অপর একদল ’আলিম বলেন উযূ ও ফরয গোসল কোনটাই পুনরায় করতে হবে না। এ হল ইমাম মালিক ও শাফি’ঈ এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَضْمَضَةِ وَالاِسْتِنْشَاقِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، وَجَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا تَوَضَّأْتَ فَانْتَثِرْ وَإِذَا اسْتَجْمَرْتَ فَأَوْتِرْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ وَلَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَالْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِيمَنْ تَرَكَ الْمَضْمَضَةَ وَالاِسْتِنْشَاقَ فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ إِذَا تَرَكَهُمَا فِي الْوُضُوءِ حَتَّى صَلَّى أَعَادَ الصَّلاَةَ وَرَأَوْا ذَلِكَ فِي الْوُضُوءِ وَالْجَنَابَةِ سَوَاءً ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ الاِسْتِنْشَاقُ أَوْكَدُ مِنَ الْمَضْمَضَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُعِيدُ فِي الْجَنَابَةِ وَلاَ يُعِيدُ فِي الْوُضُوءِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَبَعْضِ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَقَالَتْ طَائِفَةٌ لاَ يُعِيدُ فِي الْوُضُوءِ وَلاَ فِي الْجَنَابَةِ لأَنَّهُمَا سُنَّةٌ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ تَجِبُ الإِعَادَةُ عَلَى مَنْ تَرَكَهُمَا فِي الْوُضُوءِ وَلاَ فِي الْجَنَابَةِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ فِي آخِرَةٍ ‏.‏


Salamah bin Qais narrated that : Allah's Messenger said: "When you perform Wudu then sniff water in the nose and blow it out, and when you use small stones (to remove filth) then make it odd (numbered)."