হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৭২

পরিচ্ছেদঃ ২৫) ফজর, আসর ও মাগরিব নামাযের পরে যে যিকির পাঠ করতে হয় তার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৪৭২. (হাসান লি গাইরিহী) আবু যার্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজর নামাযের পরে কোন কথা বলার পূর্বে পা দু’টি গুটানো অবস্থায় এই কালেমা পাঠ করবে ’’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহ্য়ি ওয়া ইয়মীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর’’ ১০ বার। তাহলে আল্লাহ তার জন্য দশটি নেকী লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মোচন করে দিবেন এবং দশটি মর্যাদা উন্নীত করবেন। সে সারাদিন সবধরনের অপছন্দনীয় বিষয় থেকে নিরাপদে থাকবে। তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করা হবে এবং শির্ক ব্যতীত কোন পাপ সেদিন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযী ৩৪৭০ ও নাসাঈ ১২৭, হাদীছটির বাক্য তিরমিযীর)

তবে নাসাঈর বর্ণনায় ’’বিয়্যাদিহিল খাইরু’’ শব্দটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

(হাসান লি গাইরিহী) তিনি আরো বর্ণনা করেনঃ

وَكَانَ لَهُ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ قالها عتق رَقَبَةٍ

’’আর প্রত্যেক বার ঐ কালেমা বলার সাথে সাথে একটি করে ঈমানদার কৃতদাস আযাদ করার ছোয়াব লাভ করবে।’’

ইমাম নাসাঈ মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) থেকেও হাদীছটি বর্ণনা করেন। তাতে অতিরিক্ত এই কথা আছেঃ

من قالهن حين ينصرف من صلاة العصر أعطي مثل ذلك في ليلته

’’যে ব্যক্তি আসরের নামায পড়ে এই কথাগুলো পাঠ করবে তাকে সারা রাতের জন্য অনুরূপ ছোয়াব দেয়া হবে।’’

الترغيب في أذكار يقولها بعد الصبح والعصر والمغرب

(حسن لغيره) عن أبي ذر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال مَنْ قَالَ فِي دُبُرِ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَهُوَ ثَانٍ رِجْلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ كُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَ يَوْمَهُ ذَلِكَ كُلَّهُ فِي حِرْزٍ مِنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ وَحُرِسَ مِنْ الشَّيْطَانِ وَلَمْ يَنْبَغِ لِذَنْبٍ أَنْ يُدْرِكَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَّا الشِّرْكَ بِاللَّهِ. رواه الترمذي واللفظ له والنسائي


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ