হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৯৩৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৩৯-[৭২] যায়দ ইবনু আরকাম-এর কন্যা উনায়সাহ্ (রাঃ) তাঁর পিতা যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার যায়দ রোগাগ্রস্ত হয়ে পড়লে নবী (সা.) তাঁকে দেখাশুনা করতে আসলেন। তিনি (সা.) বললেন, এ রোগে তোমার অবস্থা কি হবে? যখন আমার মৃত্যুর পরও তুমি বেঁচে থাকবে এবং সে সময় দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে এর প্রতিদানের আশা করে ধৈর্যধারণ করব। নবী (সা.) বললেন, তবে তো তুমি বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। উনায়সাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সা.) - এর মৃত্যুর পর তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। আবার কিছুদিন পর আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ أُنَيْسَةَ بِنْتِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ عَنْ أَبِيهَا إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى زَيْدٍ يَعُودُهُ مِنْ مَرَضٍ كَانَ بِهِ قَالَ: «لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْ مَرَضِكَ بَأْسٌ وَلَكِنْ كَيْفَ لَكَ إِذَا عُمِّرْتَ بَعْدِي فَعَمِيتَ؟» قَالَ: أَحْتَسِبُ وَأَصْبِرُ. قَالَ: «إِذًا تَدْخُلِ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَاب» . قَالَ: فَعَمِيَ بَعْدَ مَا مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ ردَّ اللَّهُ بَصَره ثمَّ مَاتَ اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی دلائل النبوۃ (6 / 479) * فیہ ’’ نباتۃ عن حمادۃ عن انیسۃ بنت زید بن ارقم ‘‘ وھن مجھولات و من دونھن ینظر فیہ ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা: রাসূল (সা.) -এর উল্লেখিত ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। যে অসুখে রাসূল (সা.) এ যায়দ (রাঃ)-কে দেখতে গিয়েছিলেন তা থেকে তিনি সুস্থ হয়ে যান। তারপর রাসূল (সা.) -এর মৃত্যুর পর তার দৃষ্টিশক্তি চলে যায়। তবে রাসূল (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ)-এর সামনে তাঁর দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরে আসার কথা উল্লেখ করেননি; তার কারণ হয়তো রাসূল (সা.) -এর এ আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, দৃষ্টিশক্তি না থাকা অবস্থায় যায়দ ইবনু আরকম (রাঃ) ধৈর্যধারণ করে বেশি বেশি দুঃখকষ্ট সহ্য করবেন, যার ফলে তিনি অধিক প্রতিদান ও সাওয়াব লাভ করবেন। যদি তিনি পূর্ব থেকেই এ কথা জানতেন যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পর পুনরায় ফিরে আসবে তবে তিনি এত অধিক পরিমাণে দুঃখ ও কষ্ট ভোগ করতেন না
এবং তিনি পূর্ণ ধৈর্যধারণের ঐ মর্যাদাও অর্জন করতে পারতেন না যার কারণে তিনি আল্লাহ তা'আলার সাহায্য-সহযোগিতা অর্জন করেছেন। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা)