হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫২৯৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫২৯৯-[৫] ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, [রাসূল (সাঃ) বলেছেন] যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থ ভরসা কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে অনুরূপ রিযক দান করবেন, যেরূপ পাখিকে রিযক দিয়ে থাকেন। তারা ভোরে খালি পেটে বের হয় এবং দিনের শেষে ভরা পেটে (বাসায়) ফিরে আসে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

عَن عمر بن الْخطاب قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَوْ أَنَّكُمْ تَتَوَكَّلُونَ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ حسن ، رواہ الترمذی (2344 وقال : حسن صحیح) و ابن ماجہ (4164) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা : (لَوْ أَنَّكُمْ تَتَوَكَّلُونَ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ) যদি তোমরা আল্লাহ তা'আলা ওপর যথাযথ ভরসা করতে এবং এ কথা নিশ্চিতভাবে অবগত হতে যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে এর কর্তা একমাত্র আল্লাহ। আর রিযকদাতা ও রোধকারী তিনিই, এরপর তোমরা উত্তম পদ্ধতিতে তার ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে তাহলে (لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ) তোমরাও রিযকপ্রাপ্ত হতে যেমনটি পাখিকে রিযক দেয়া হয়। সে সকালে খালি পেটে বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় পেটপূর্ণ করে আবার বাসায় ফিরে আসে।

ইমাম মুনাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, পাখি সকাল বেলা ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেরিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় পেট ভর্তি করে ফিরে আসে। অতএব উপার্জন করাই রিযকদাতা হতে পারে না বরং রিযকদাতা হলেন একমাত্র আল্লাহ। তিনি এ দ্বারা বুঝিয়েছেন যে, ভরসা করা অর্থ কর্মহীন হয়ে বসে থাকা নয়। বরং যে কোন বৈধ পন্থার সাথে সম্পৃক্ত হওয়া আবশ্যক। কেননা পাখিরা রিযকপ্রাপ্ত হয় চেষ্টা ও অন্বেষণের মাধ্যমে। আর এজন্যই ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসের মাধ্যমে উপার্জন বন্ধ করে বসে থাকার কথা বলা হয়নি। বরং রিযক অন্বেষণ করার প্রতি দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি (সা.) এর দ্বারা বুঝিয়েছেন, যদি তারা তাদের কর্মস্থলে যাওয়া আসার মাঝে ও চেষ্টা প্রচেষ্টার সাথে আল্লাহর ওপর ভরসা করত এবং এটা অবগত হত যে, কল্যাণ একমাত্র আল্লাহর হাতে, তবে তারাও পাখির মতো নিরাপদে গনীমাতপ্রাপ্ত হয়ে ফিরত। (তুহফাতুল আহওয়ায়ী ৬/২৩৪৪, মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৫২৯৯)