হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫১২৩

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার

৫১২৩-[১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুলুম বা অত্যাচার কিয়ামতের দিন অন্ধকারের কারণ হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الظُّلْمِ

عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الظُّلْمُ ظُلْمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

ব্যাখ্যাঃ (الظُّلْمُ ظُلْمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ) ইবনুল জাওযী (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেনঃ জুলুম বা অত্যাচার প্রধানতঃ দু’টো পাপের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। একটি হলো অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা। আর অপরটি হলো আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘লার সাথে বিরুদ্ধাচরণ করা শারী‘আত বহির্ভূত কোন বিষয় নিয়ে। জুলুমের এ পাপটি অন্যান্য পাপের চাইতে মারাত্মক। কারণ অধিকাংশ সময় জুলুম নামক অন্যায় দুর্বল ব্যক্তিদের সাথেই সংগঠিত হয়ে থাকে। যারা এতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না অক্ষম হওয়ার কারণে তারা পরাজিত হয়। জুলুম অন্তরের অন্ধকার তথা বক্রতা থেকে তৈরি হয়। তবে যদি সেই অন্তর হিদায়াতের আলো দ্বারা আলোকিত হয় তখন তার মর্যাদা অনেক গুণে বেড়ে যায়। সুতরাং আখিরাতে যেদিন মুত্তাক্বীরা তাকওয়ার প্রতিদান হিসেবে আল্লাহর নূর লাভে ধন্য হবে সেদিন যালিমকে তার জুলুমের অন্ধকার আচ্ছন্ন করবে কিন্তু কোনই সাহায্যকারী থাকবে না। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৪৪৭; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩০)

কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন যালিমের জন্য বাস্তবিকই অন্ধকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ অন্ধকারগুলো বিভিন্ন বিপদাপদ, দুঃখ-দুর্দশার আকৃতিরূপে প্রকাশ পাবে। মানুষ যখন বিপদে পতিত হয় তখন সে এক রকম অন্ধকারেই পতিত হয়, এদিক থেকে ظُلْمَاتٌ বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন-

قُلْ مَنْ يُنْجِيكُمْ مِنْ ظُلُمَاتِ الْبَرِّ والبحر ‘‘হে নবী! বলুন, কে তোমাদেরকে জলের এবং স্থলের বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে।’’ আবার ظُلْمَاتٌ শব্দ দ্বারা বিভিন্ন প্রকার শাস্তিও উদ্দেশ্য হতে পারে। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৫৭৯/৫৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ