হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৯৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ

৪৯৬৫-[১৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা তিন ব্যক্তি একত্রে থাকবে, তোমাদের দু’জনে পরস্পর অপরজনকে বাদ দিয়ে কানে কানে কথা বলবে না যতক্ষণ না তোমরা জনতার সাথে মিশে যাও। এটা এজন্য যে, এতে অপর ব্যক্তি মনঃক্ষুণ্ণ হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الشَّفَقَةِ وَالرَّحْمَةِ عَلَى الْخَلْقِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كُنْتُمْ ثَلَاثَةً فَلَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ الْآخَرِ حَتَّى تَخْتَلِطُوا بِالنَّاسِ مِنْ أَجْلِ أَن يحزنهُ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

ব্যাখ্যাঃ তিনজন ব্যক্তি এক সাথে থাকলে তার ভিতর থেকে দু’জন একজনকে বাদ দিয়ে কোন গোপন পরামর্শ করবে না। إِذَا كَانُوا أَرْبَعَة যদি তারা চারজন থাকেন। তাহলে কোন অসুবিধা নেই। ইবনু উমার (রাঃ)-এর একটি ‘আমল এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। যখন তিনি কোন ব্যক্তির সাথে গোপন পরামর্শ করতে চাইতেন আর তারা যদি তিনজন থাকত তখন চতুর্থ আরেকজনকে ডেকে নিয়ে আসতেন। তারপর দু’জনকে লক্ষ্য করে বলতেন, তোমরা দু’জন বিশ্রাম নাও, আমি একটু কথা বলি। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, চারজন হলে অসুবিধা নেই। ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন, এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন একজনকে বাদ দিয়ে আলাপ করবে এটা নিষিদ্ধ, তাতে সে জামা‘আতের সংখ্যা তিন হোক চার হোক বা ততোধিক হোক। এতে তাদের ভিতরে বিদ্বেষ সৃষ্টি বা সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণ ঘটে যেতে পারে। ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কোন জামা‘আত থেকে একজনকে বাদ দিয়ে আলাপচারিতা করবে না।

ইমাম কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এক জামা‘আত যদি আরেক জামা‘আতকে বাদ দিয়ে কথাবার্তা বলে সেটা জায়িয হবে কিনা- এ ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। ইবনু তীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস ফাতিমার ঘটনায় প্রমাণ করে এটা জায়িয আছে। আল্লাহই ভালো জানেন। (ফাতহুল বারী ১১শ খন্ড, হাঃ ৬২৯০)