হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৩৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা

৪৩৮৫-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির হাতে একটি স্বর্ণের আংটি দেখতে পেলেন। তখনই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার হাত হতে তা খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ তোমাদের কেউ কি জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে নিজ হাতে রাখতে চায়? (এটা বলে) অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলে লোকেরা তাকে বলল, তুমি তোমার আংটিটি তুলে নাও এবং তা হতে (অন্য কোনভাবে) উপকৃত হও। তখন সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি তা কখনো তুলে নেব না, যা স্বয়ং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলে দিয়েছেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْخَاتَمِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ فَقَالَ: «يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ؟» فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَمَا ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ. قَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে আংটিওয়ালা লোকটির কথা; যখন তার সাথীরা তাকে বলেছিল আংটি উঠিয়ে নাও। তখন তিনি বলেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ফেলে দিয়েছেন তা আমি আর নেব না। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ পালন ও নিষেধাজ্ঞামূলক কথাবলী বর্জনের উপর দৃঢ় প্রত্যয় প্রমাণিত হয়। আর দুর্বল ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিষিদ্ধ কোন কিছুর অনুমোদন অনুসন্ধান না করার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করা বুঝায়। তবে আংটিওয়ালা ব্যক্তি যদি আংটিটি উঠিয়ে নিতেন এবং বিক্রি কিংবা যার এটার প্রয়োজন রয়েছে তাকে সাদাকা করে দিতেন তাতে দোষের কিছু ছিল না। কেননা আংটিটি পরিবর্তন করে অন্যান্য কিছু বানানো যাবে না বা এর দ্বারা অন্য কোন উপকার নেয়া যাবে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছুই বলেননি। বরং তিনি তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। অতএব উক্ত আংটি দ্বারা অন্য কাজ যেমন- আংটি থেকে মহিলাদের অলংকার ও তা বিক্রি করে অন্য যে কোন কাজ করা বৈধ। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৯০)