হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৩৭৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪৩৭৭-[৭৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়্যাহস্বরূপ প্রাপ্ত একটি রেশমী কাবা (আলখেল্লা) পরিধান করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অতিসত্বর তা খুলে ফেললেন এবং ’উমার (রাঃ)-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি এত দ্রুত তা খুলে ফেললেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ (এইমাত্র) জিবরীল (আ.) আমাকে তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। পরে ’উমার (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি একটি জিনিস অপছন্দ করলেন আর তা আমাকে প্রদান করলেন। সুতরাং আমার অবস্থা কী হবে? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ প্রকৃতপক্ষ আমি তা তোমাকে পরিধান করার উদ্দেশে দেইনি; বরং দিয়েছি যাতে তুমি তা বিক্রি করে উপকৃত হও। ’উমার (রাঃ) দু’ হাজার দিরহামের বিনিময়ে তা বিক্রি করলেন। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَبِسَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا قَبَاءَ دِيبَاجٍ أُهْدِيَ لَهُ ثُمَّ أَوْشَكَ أَنْ نَزَعَهُ فَأَرْسَلَ بِهِ إِلَى عُمَرَ فَقِيلَ: قَدْ أَوْشَكَ مَا انْتَزَعْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «نهاني عَنهُ جبريلُ» فَجَاءَ عُمَرُ يَبْكِي فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كرهتَ أَمْرًا وَأَعْطَيْتَنِيهِ فَمَا لِي؟ فَقَالَ: «إِنِّي لَمْ أُعْطِكَهُ تَلْبَسُهُ إِنَّمَا أَعْطَيْتُكَهُ تَبِيعُهُ» . فَبَاعَهُ بِأَلْفَيْ دِرْهَم. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, কোন পোশাক বা বস্তু যদি নির্দিষ্ট কারও জন্য হারাম হয় তাহলে সে তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এটি জায়িয। এ হাদীসেই দেখা যাচ্ছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার (রাঃ)-কে রেশমের তৈরি জামাটি পরতে না দিয়ে তাকে তা বিক্রি করে দিতে বললেন। যেহেতু রেশমী কাপড় পরা মহিলাদের জন্য জায়িয। মহিলারা চাইলে তা কিনে পরতে পারবে। এ হাদীস দ্বারা আরও প্রমাণ হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রথমযুগে রেশমী কাপড়ের তৈরি পোশাক পরতেন। তারপর যখন তা হারাম হওয়ার বিধান অবতীর্ণ হলো তখন থেকে তিনি তা পরা বাদ দিয়ে দিলেন। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৭০/১৬)