হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৩২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩২৭-[২৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পরনে কমলা বা কুসম্ব রংয়ের দু’খানা কাপড় দেখতে পেলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ মূলতঃ এটা কাফিরদের পোশাক। কাজেই তা পরো না। অপর এক রিওয়ায়াতে আছে, আমি বললামঃ আমি কি তাকে ধৌত করে ফেলব? তিনি বললেনঃ বরং এ দু’টিকে পুড়িয়ে ফেলো। (মুসলিম)[1]নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহলে বায়তের মানাকিব অধ্যায়ে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস অচিরেই আমরা বর্ণনা করব।

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: رَأَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ثَوْبَيْنِ مُعَصْفَرَيْنِ فَقَالَ: «إِنَّ هَذِهِ من ثِيَاب الْكفَّار فَلَا تلبسها» وَفِي رِوَايَة: قلت: أغسلهما؟ قَالَ: «بل احرقها» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ عَائِشَةَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ غَدَاةٍ فِي «بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم»

ব্যাখ্যাঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) কুসম্ব রং দ্বারা রঙিন দু’টি কাপড় পরিধান করেছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এটা পরিধান করতে নিষেধ করেন এবং তা জ্বালিয়ে ফেলতে বলেন। এর কারণ হলো এগুলো মুশরিক হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় পোশাক। বৌদ্ধ-ভিক্ষু বৈরাগী-সন্ন্যাসীরাও গেরুয়া কিংবা কুসম্ব রঙের বিশেষ এক জোড়া পোশাক পরিধান করে থাকে। বর্তমানেও তাদের এ রকম পোশাক পরিলক্ষিত হয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্ভবত তাদের সাথে সাদৃশ্যশীল এই পোশাক দেখেই উক্ত সাহাবীকে তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, এমনকি তার নমুনাও যেন বাকী না থাকে তাই তা জ্বালিয়ে ফেলতে বলেছেন।

সাহাবী উক্ত কাপড় ধৌত করে পরিধানের অনুমতি চাইলেও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কেননা ধুয়ে ফেললে গন্ধ দূর হলেও রং দূর হয় না। অথবা ঐ কাপড় দু’খানা বিশেষ ডিজাইনে তৈরি ছিল যা কাফির মুশরিকদের ধর্মীয় প্রতীক বহন করছিল। তাই মুসলিমদের ঐ কাপড় পরিধান করা আদৌ সঙ্গত নয়। অতএব তিনি জ্বালিয়ে সমূলে ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করেন।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড; হাঃ ২০৭৬/২৪)