হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪২০৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪২০৯-[৫১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগার হতে বাইরে এলেন, এমন সময় তাঁর সামনে খাবার আনা হলো। তখন লোকেরা বলে উঠল, আমরা কি আপনার জন্য উযূর পানি আনব না? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ শুধুমাত্র সালাতের প্রস্তুতি নেবার জন্য আমাকে উযূ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ فَقُدِّمَ إِلَيْهِ طَعَامٌ فَقَالُوا: أَلَا نَأْتِيكَ بِوَضُوءٍ؟ قَالَ: «إِنَّمَا أُمِرْتُ بِالْوُضُوءِ إِذَا قُمْتُ إِلَى الصَّلَاةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّمَا أُمِرْتُ بِالْوُضُوءِ إِذَا قُمْتُ إِلَى الصَّلَاةِ) ‘‘আমি তো শুধুমাত্র সালাতে প্রস্তুতি নেবার জন্য উযূ করতে আদিষ্ট হয়েছি’’। অর্থাৎ উযূ ভঙ্গ হয়ে গেলে সালাতে দাঁড়ানোর আগে উযূ করা ওয়াজিব, অন্য সময় নয়। সম্ভবত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে পেরেছিলেন যে, প্রশ্নকারী মনে করতেন যে, খাওয়ার আগেও উযূ করা ওয়াজিব, তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জওয়াব দিলেন সালাতের পূর্বেই উযূ করা ওয়াজিব খাওয়ার পূর্বে নয়। এ কথা দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যে, শুধুমাত্র সালাতের ক্ষেত্রেই উযূ করা ওয়াজিব, অন্য সময় নয়। কেননা কা‘বাহ্ ঘর ত্বওয়াফ করার পূর্বে সর্বসম্মতভাবে উযূ করা ওয়াজিব। (মুসহাফ স্পর্শ করা এবং তিলাওয়াতের সাজদার সময় উযূ করা ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকলেও ত্বওয়াফের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য নেই- অনুবাদক) হাফিয ইবনুল কইয়ূম বলেনঃ খাওয়ার পূর্বে হাত ধৌত করা মুস্তাহাব হওয়া সম্পর্কে দু’টি মত রয়েছে।

১. হাত ধৌত করা মুস্তাহাব ২. তা মুস্তাহাব নয়। সঠিক কথা হলো তা মুস্তাহাব নয়। এক্ষেত্রে তিনি ইমাম নাসায়ীর বরাতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে হাদীস উল্লেখ করেছেন তাতে আছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানার কাজ শেষে বেরিয়ে আসলেন, অতঃপর খাবার খেলেন পানি স্পর্শ না করেই’’ এ হাদীসের সানাদ সহীহ। পক্ষান্তরে খাওয়ার পূর্বে ও পরে হাত ধৌত করার হাদীস দুর্বল। এজন্য সুফ্ইয়ান (রহিমাহুল্লাহ) খাওয়ার পূর্বে হাত ধৌত করা অপছন্দ করতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ৩৭৫৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ