হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪২০১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪২০১-[৪৩] আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম, এমন সময় খাবার আনা হলো। আমি অদ্যাবধি ওর চেয়ে বেশি বারাকাতময় খাবার কখনো দেখিনি, প্রথমভাগে যা আমরা খেয়েছিলাম। আর না অতি অল্প বারাকাত যা তার শেষ ভাগে ছিল। আমরা জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! এমনটি হলো কেন? তিনি বললেনঃ আমরা যখন খাচ্ছিলাম, তখন আল্লাহর নাম নিয়ে আরম্ভ করেছিলাম। অতঃপর এক লোক (আমাদের সাথে) খেতে বসেছে, সে আল্লাহর নাম নেয়নি, ফলে তার সাথে শয়তানও খাবার খেয়েছে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

عَن أبي أَيُّوب قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُرِّبَ طَعَامٌ فَلَمْ أَرَ طَعَامًا كَانَ أَعْظَمَ بَرَكَةً مِنْهُ أَوَّلَ مَا أَكَلْنَا وَلَا أَقَلَّ بَرَكَةً فِي آخِرِهِ قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هَذَا؟ قَالَ: «إِنَّا ذَكَرْنَا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ حِينَ أَكَلْنَا ثُمَّ قَعَدَ مَنْ أَكَلَ وَلَمْ يُسَمِّ اللَّهَ فَأَكَلَ مَعَهُ الشَّيْطَانُ» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة

ব্যাখ্যাঃ (فَلَمْ أَرَ طَعَامًا كَانَ أَعْظَمَ بَرَكَةً مِنْهُ أَوَّلَ مَا أَكَلْنَا) ‘‘আহারের প্রথম পর্যায়ের বারাকাতের মতো এত বারাকাত আর কোন খাবারে দেখিনি।’’ অর্থাৎ আমরা যখন আহার করা শুরু করলাম তখন ঐ খাবারে প্রচুর বারাকাত অর্জিত হচ্ছিল। এত বারাকাত ইতিপূর্বে আমি কখনো দেখিনি।

(وَلَا أَقَلَّ بَرَكَةً فِىْ آخِرِه) ‘‘এবং খাবারের শেষের দিকে এত কম বারাকাতও কখনো দেখিনি’’। অর্থাৎ আমরা যখন ঐ আহার গ্রহণের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছালাম তখন খাবারের বারাকাত এত কমে গেল যে, এত কম বারাকাতও আমি কখনো দেখিনি।

(إِنَّا ذَكَرْنَا اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ حِينَ أَكَلْنَا) ‘‘আমরা যখন খাবার খাচ্ছিলাম তখন আমরা সবাই ‘বিসমিল্লা-হ’ বলেছিলাম’’। অর্থাৎ খাবার শুরুতে আমরা সবাই ‘বিসমিল্লা-হ’ বলার কারণে খাদ্যে বারাকাত নাযিল হচ্ছিল। অত্র হাদীস থেকে এটা জানা যায় যে, খাবারের শুরুতে ‘বিসমিল্লা-হ’ বললে সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। তবে সেই সাথে ‘রহমা-নির রহীম’ যুক্ত করা উত্তম। জুনুবী, ঋতুবতী এবং নিফাসগ্রস্ত মহিলার ক্ষেত্রেও খাবার গ্রহণের শুরুতে ‘বিসমিল্লা-হ’ বলা মুস্তাহাব যদি এর দ্বারা কুরআন তিলাওয়াত উদ্দেশ্য না করেন। তবে কুরআন তিলাওয়াতের নিয়্যাতে ‘‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’’ পাঠ করা উপযুক্ত লোকেদের জন্য হারাম।

(ثُمَّ قَعَدَ مَنْ أَكَلَ وَلَمْ يُسَمِّ اللهَ فَأَكَلَ مَعَهُ الشَّيْطَانُ) ‘‘অতঃপর এমন এক ব্যক্তি খেতে বসলো যে, ‘বিসমিল্লা-হ’ বলেনি ফলে তার সাথে শয়তান খেতে থাকলো। অতএব দ্রুত খাদ্যের বারাকাত শেষ হয়ে গেল।’’

‘বিসমিল্লা-হ’ বলে আহার শুরু করা হলেও পরবর্তীতে কোন ব্যক্তি ঐ খাবারে অংশীদার হলে প্রথমে ‘বিসমিল্লা-হ’ বলা ঐ পরবর্তী লোকের জন্য যথেষ্ট নয় বরং পরবর্তীতে আসা লোককে ‘বিসমিল্লা-হ’ বলে খাবার শুরু করতে হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ