হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪১৭৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪১৭৩-[১৫] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি অধিক পরিমাণে খাবার খেতো, পরে সে ইসলাম গ্রহণ করল। তখন সে অল্প খেতে লাগল। ব্যাপারটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালে তিনি বললেনঃ মু’মিন খায় এক পাকস্থলীতে আর কাফির খায় সাত পাকস্থলীতে। (বুখারী)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْهُ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَأْكُلُ أَكْلًا كَثِيرًا فَأَسْلَمَ فَكَانَ يَأْكُلُ قَلِيلًا فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سبعةِ أمعاء» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَأْكُلُ فِىْ مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِىْ سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ) ‘‘মু’মিন এক পেটে খায় আর কাফির সাত পেটে খায়।’’ مِعًى বলা হয় খাদ্য থলিকে। জেনে রাখা দরকার মু’মিনের তুলনায় কাফিরের খাদ্যথলি বেশী নেই। বরং প্রত্যেক মানুষেরই শুধুমাত্র একটি করে খাদ্য থলি আছে। তাই কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণীর মর্ম হলো মু’মিনের খাদ্যের প্রতি লোভ কম থাকে, তাই তার খাদ্য ও পানীয়তে বারাকাত হয় এবং অল্পতেই সে তৃপ্ত হয়। পক্ষান্তরে খাদ্যের প্রতি কাফিরের লোভ অত্যন্ত বেশী, যেমন- চতুষ্পদ জন্তুর লোভ খাদ্যের প্রতি, দেখলেই খেতে চায়, অনুরূপ কাফির ব্যক্তিও দেখলেই খেতে চায়। অত্র হাদীসে কাফির ও মু’মিনের এই তারতম্য বর্ণনা করা হয়েছে। আর মু’মিন যখন খেতে আরম্ভ করে তখন শুরুতে ‘বিসমিল্লা-হ’ বলে, ফলে শয়তান তার খাবারে অংশগ্রহণ করতে পারে না। আর কাফির ‘বিসমিল্লা-হ’ বলে, না তাই শয়তান তার খাদ্যে অংশগ্রহণ করে। ফলে মু’মিনের অল্প খাবারই যথেষ্ট হয়ে যায় কিন্তু কাফিরের তা হয় না। আর মু’মিনের পেট কিছুটা ভরলেই সে তৃপ্ত হয়, তাই তার খাবার কম লাগে। আর কাফির পেট পূর্ণ না করে তৃপ্ত হয় না, তাই তার খাবার বেশী লাগে।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার প্রতি আসক্ত না হওয়া ও তার ভোগ বিলাসে যথাসাধ্য কমে তুষ্ট থাকা। আর খাদ্যাভ্যাস কম থাকা মানুষের উত্তম গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত আর অধিক খাদ্যগ্রহণ করা এর বিপরীত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫৩৯৭; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৬০, তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮১৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ