পরিচ্ছেদঃ
১৯৩৩। দুনিয়া সেই ব্যক্তির ঘর যার কোন ঘর নেই। [আর সেই ব্যক্তির সম্পদ যার কোন সম্পদ নেই]। আর দুনিয়াকে সে ব্যক্তি জমা করে যার কোন বুদ্ধি নাই।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে আহমাদ "আলমুসনাদ" গ্রন্থে (৬/৭১) দুওয়াইদ সূত্রে আবু ইসহাক হতে, তিনি উরওয়াহ হতে (মূলে রয়েছেঃ যুর’য়াহ হতে), তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু কুদামাহ “আলমুন্তাখাব” গ্রন্থে (১০/১/২) বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছি বাহ্যিকভাবে আবু ইসহাক হচ্ছেন সাবী’ঈ, তিনি মুদাল্লিস এবং তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। আর দুরায়েদ হচ্ছেন ইবনু নাফে। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাকবুল। তিনি এরূপই বলেছেন। কিন্তু তার কথার মধ্যে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ তার থেকে একদল বর্ণনা করেছেন যাদের মধ্যে লাইস ইবনু সা’দ রয়েছেন। তাকে যুহালী প্রমুখ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি মুস্তাকীমুল হাদীস। হাফিয যাহাবী এরূপই বলেছেন।
ইবনু আবিদ দুনিয়ার “যাম্মুদ দুনিয়া” গ্রন্থে (কাফ ২/২৯) আবূ সুলাইমান নাসীবী তার মুতাবা’য়াত করেছেন। অতএব হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে সাবী’ঈ। এ কারণে যিনি এর সনদটি ভালো বলেছেন, তিনি সঠিক করেননি, যেমন মুনযেরী “আততারগীব” গ্রন্থে (৪/১০৪) আর ইরাকী “আততাখরীজ” গ্রন্থে (৩/২০২), আর মানবী ও যারকানী তাদের অনুসরণ করেছেন। আর গুমারী অভ্যাসগতভাবে তাদের অন্ধ অনুসরণ করেছেন তার "আলকানয" গ্রন্থে (১৭৯৯)। সুন্নাতের ইমাম যে হাদীসটিকে মুনকার আখ্যা দিয়েছেন সম্ভবত তারা তা অবগত হননি।
আর হাফিয সাখাবী “আলমাকাসিত” গ্রন্থে (২১৭/৪৯৪) সংক্ষেপে যা বলেছেন তাতে তিনি ভালই করেছেনঃ এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আর তার পূর্বে হাইসামীও “মাজমাউয যাওয়াইদ” গ্রন্থে (১০/২৮৮) এরূপই করেছেন। কিন্তু তারা দু’জনই সহীহ আখ্যা দেননি। আর যারকানী “মুখতাসারুল মাকাসিদ” গ্রন্থে (১০৮/৪৬৪) এর বিপরীত বুঝ বুঝে বলেছেনঃ এটি সহীহ।
কিন্তু এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য এ কথা থেকে এরূপ (সহীহ) বুঝাটা যে ভুল, তা বিভিন্ন জায়গায় আমরা সতর্ক করেছি।
হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ "আযযুহুদ" গ্রন্থে (পৃঃ ১৬১) মালেক ইবনু মিগঅল হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ ...। অর্থাৎ তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর বর্ণনাকারীগণও নির্ভরযোগ্য। কিন্তু সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কারণ এ মালেক হচ্ছেন তাবোতাবেঈ। তিনি সাবীঈ প্রমুখ হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসটি সুয়ূতী আহমাদ ও বাইহাকীর "আশশুয়াব" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। বাইহাকী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর মানবী “আততাইসীর” গ্রন্থে হাদীসটির পরক্ষণেই এ কথা বলে ভুল করেছেন যে, সহীহ সনদে।
الدنيا دار من لا دار له، (ومال من لا مال له) ، ولها يجمع من لا عقل له ضعيف - رواه أحمد في " المسند " (6 / 71) من طريق دويد عن أبي إسحاق عن عروة (وفي الأصل: زرعة) عن عائشة مرفوعا. وقال ابن قدامة في " المنتخب " (10 / 1 / 2) : " هذا حديث منكر ". قلت: وأبو إسحاق الظاهر أنه السبيعي، وهو مدلس مختلط. ودويد، وهو ابن نافع. قال الحافظ: " مقبول ". كذا قال، وفيه نظر، فقد روى عنه جمع، منهم الليث بن سعد، ووثقه الذهلي وغيره، وقال ابن حبان: " مستقيم الحديث ". وكذا قال الذهبي: وقد تابعه أبو سليمان النصيبي عند ابن أبي الدنيا في " ذم الدنيا " (ق 29 / 2) ، فالعلة السبيعي. ولذلك فإنه لم يصب من جود إسناده كالمنذري في " الترغيب " (4 / 104) والعراقي في " التخريج " (3 / 202) وتبعهم المناوي والزرقاني، وقلدهم الغماري كعادته في " كنزه " (1799) وكأنهم لم يقفوا على شهادة إمام السنة بنكارته، كما تقدم. وقد أحسن صنعا الحافظ السخاوي في " المقاصد " في اقتصاره على قوله (217 / 494) : " ورجاله ثقات وسبقه إلى ذلك الهيثمي في " مجمع الزوائد " (10 / 288) ، فلم يصححاه، خلافا لفهم الزرقاني في " مختصر المقاصد " (108 / 464) : " صحيح "! ومثل هذا الفهم الكلمة: " رجاله ثقات " خطأ شائع مع الأسف كما نبهنا عليه في غير ما موضع هذا، والحديث رواه أحمد في " الزهد " (ص 161) عن مالك بن مغول قال: قال عبد الله: فذكره موقوفا على عبد الله، وهو ابن مسعود. ورجاله ثقات أيضا، ولكنه منقطع، مالك هذا تابع تابعي، روى عن السبيعي ونحوه. والحديث عزاه السيوطي لأحمد والبيهقي في " الشعب " عن عائشة. والبيهقي فيه عن ابن مسعود موقوفا. فمن أخطاء المناوي قوله عقبه في " التيسير ": بأسانيد صحيحة