পরিচ্ছেদঃ
১৯২৪। দু’টি চরিত্র রয়েছে যার মধ্যে এ দুটি চরিত্র থাকবে তাকে আল্লাহ্ তা’য়ালা শুকরগুজার এবং ধৈর্য ধারণকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করবেনঃ যে ব্যক্তি তার ধর্মীয় ব্যাপারে তার উপরে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকাবে, অতঃপর সে তার অনুসরণ করবে এবং সে তার দুনিয়ার ব্যাপারে তার নিচে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকাবে অতঃপর সে আল্লাহর প্রশংসা করবে, তাকে যে আল্লাহ্ নিচে থাকা ব্যক্তির উপরে মর্যাদা দান করেছেন এ জন্য। ফলে আল্লাহ্ তা’য়ালা এ ব্যক্তিকে শুকরগুজার এবং ধৈর্য ধারণকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করবেন। আর যে ব্যক্তি তার ধর্মীয় ব্যাপারে তার নিচে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকাবে এবং তার দুনিয়ার ব্যাপারে তার উপরে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকাবে সে সেই ব্যাপারে দুঃখিত হবে যা তার থেকে ছুটে গেছে। আল্লাহ্ তা’য়ালা এ ব্যক্তিকে শুকরগুজার এবং ধৈর্য ধারণকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করবেন না।
হাদীসটি দুর্বল।
ইবনুল মুবারাক "আযযুহুদ" গ্রন্থে (১৮০, নুয়াইমের বর্ণনায়), তার থেকে তিরমিযী (২/৮৩), অনুরূপভাবে বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" গ্রন্থে (১৪/২৯৩/৪১০২) ও ইবনুস সুন্নী "আমলুল ইওয়াম অল লাইলাহ" গ্রন্থে (৩০৪) ইবনু সাওবান হতে, তারা উভয়ে মুসান্না ইবনুস সবাহ হতে, তিনি আমর ইবনু শু’য়াইব হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বাগাবী বলেনঃ এভাবে খাল্লাল ও সুওয়াইদ ইবনু নাসর বর্ণনা করেছেন ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি মুসান্না ইবনুস সাবাহ হতে, তিনি আমর ইবনু শুয়াইব হতে, তিনি তার দাদা হতে। তারা দু’জন তার পিতা হতে কথাটি উল্লেখ করেননি। আর ’আলী ইবনু ইসহাক হাদীসটিকে ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি মুসান্না হতে, তিনি আমর ইবনু শুয়াইব হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বাগাবী ইঙ্গিত করেছেন যে, হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে সনদে বিচ্ছিন্নতা এবং ইযতিরাব সংঘটিত হওয়া। কিন্তু ইবনুস সুন্নীর বর্ণনা থেকে অগ্রাধিকার পায় যে, সনদটি মুত্তাসিল। কারণ তার বর্ণনাটি সেই বর্ণনার সাথে মিলে যায়, যিনি ইবনুল মুবারাক হতে তার পিতা হতে কথাটি বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেছেন। আর ইযতিরাব যে সংঘটিত হয়েছে তা ঘটেছে মুসান্না থেকে। কারণ তিনি দুর্বল, তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল যেমনটি “আততাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
এ থেকেই জানা যাচ্ছে যে, ইমাম তিরমিযী যে বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব, তার এ কথা বলা ভালো হয়নি। কারণ তিরমিযীর কোন কোন কপিতে হাসান লিখা হয়নি এবং সেটিই সঠিক। আর এ কারণেই মানবী দৃঢ়তার সাথে সনদটি দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
خصلتان من كانتا فيه كتبه الله شاكرا صابرا: من نظر في دينه إلى من هو فوقه فاقتدى به، ونظر في دنياه إلى من هو دونه فحمد الله على ما فضله الله به عليه، كتبه الله شاكرا صابرا، ومن نظر في دينه إلى من هو دونه، ونظر في دنياه إلى من هو فوقه، فأسف على ما فاته منه لم يكتبه الله شاكرا ولا صابرا ضعيف - رواه ابن المبارك في " الزهد " (180 - رواية نعيم) وعنه الترمذي (2 / 83) وكذا البغوي في " شرح السنة " (14 / 293 / 4102) وابن السني في " عمل اليوم والليلة " (304) عن ابن ثوبان كلاهما عن المثنى بن الصباح عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده مرفوعا وقال البغوي: " هكذا رواه الخلال وسويد بن نصر عن ابن المبارك عن المثنى بن الصباح عن عمرو ابن شعيب عن جده - ولم يذكرا: " عن أبيه " -، ورواه علي بن إسحاق عن المبارك عن المثنى عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده رفعه ". قلت: يشير البغوي إلى إعلال الحديث بالانقطاع والاضطراب. لكن رواية ابن السني ترجح الاتصال، لأنها توافق رواية من ذكر عن ابن المبارك زيادة: " عن أبيه "، ومن المحتمل أن يكون الاضطراب من المثنى نفسه، فإنه ضعيف اختلط في آخره كما في " التقريب ". ومنه تعلم أن قول الترمذي عقبه: " حديث حسن غريب ". فهو غير حسن، على أن قوله: ".. حسن "، لم يثبت في بعض النسخ، وهو الصواب، ولذلك كله جزم المناوي بضعف إسناده