পরিচ্ছেদঃ
১৯২১। যখন তোমাদের যুদ্ধের স্থানগুলো দূরের হয়ে যাবে, (যুদ্ধের ব্যাপারে নেতাদের) দৃঢ়তা বেড়ে যাবে, (অত্যাচারী নেতারা) গানীমাতগুলো হালাল মনে করবে, তখন তোমাদের সর্বোত্তম কর্ম (জিহাদ) হবে বিপদজনক পথে পাহারাদারী করা।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু হিব্বান তার “সহীহ” গ্রন্থে (১৬২৫), ইবনু আবী আসেম “আলজিহাদ” গ্রন্থে (২/১০২/১) আলমুখাল্লেস "আলফাওয়াইদূল মুনতাকাত" গ্রন্থে (৭/২২/১) ও খাতীব বাগদাদী (১২/১৩৫) সুওয়াইদ ইবনু আব্দুল আযীয হতে, তিনি ওবাইদুল্লাহ ইবনু ওবাইদ আলকালা’ঈ হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি খালেদ ইবনু মি’দান হতে, তিনি উতবাহ ইবনুন নাদ্দার হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এ সুওয়াইদ সম্পর্কে ইবনু মাঈন ও নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার “আততাহযীব” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে ইবনু হিব্বান খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন এবং তার কতিপয় মুনকার হাদীস উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ সে তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের ব্যাপারে আমি ইসতিখারাহ করেছি। কারণ সে নির্ভরযোগ্যদের নিকটবর্তী।
আমি (আলবানী) বলছি তার সূত্রেই ত্ববারানীও “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। যেমনটি "আলমাজমা" গ্রন্থে (৫/২৯০) এসেছে এবং বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। তবে হাদীসটিকে এর চেয়ে ভালো সনদে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেটি মওকুফ। সেটির ভাষা হচ্ছেঃ “লোকদের নিকট একটি সময় আসবে যখন বিপদজনক পথে পাহারাদারী করা হবে উত্তম জিহাদ। তা সে সময় যখন যুদ্ধের স্থানগুলো দূরের হবে, (যুদ্ধের ব্যাপারে নেতাদের) দৃঢ়তা বেড়ে যাবে, (অত্যাচারী নেতারা) গানীমাতগুলো হালাল মনে করবে, সে সময়ে তোমাদের সর্বোত্তম জিহাদ হবে বিপদজনক পথে পাহারাদারী করা।”
এটিকে ইবনু আবী শাইবাহ “আলমুসান্নাফ” গ্রন্থে (৭/১৫৩/২) আবূ উসামাহ হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ইবনু জাবের হতে, তিনি খালেদ ইবনু মি’দান হতে, তিনি আবূ উমামাহ (রাঃ) এবং জুবায়ের ইবনু নুফায়ের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তারা দু’জনই বলেছেনঃ .... (মওকুফ হিসেবে)।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি সহীহ কিন্তু মওকুফ। তবে এটি কি মারফুর হুকুম বহন করে? আমার নিকট এ পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। আল্লাহই বেশী জানেন।
মুরসাল সনদে মারফূ’ হিসেবে নিম্নের ভাষায় হাদিসটি বর্ণিত হয়েছেঃ
“লোকদের নিকট একটি সময় আসবে, সে সময়ে বিপদজনক পথে পাহারাদারী করা হবে উত্তম জিহাদ। আর বিপদজনক পথে পাহারাদারী করা হচ্ছে আসল জিহাদ এবং তার শাখা।”
এটিকে আবূ হিযাম ইয়াকুব হাম্বালী “আলফারুসিয়্যাহ” গ্রন্থে (১/৯/১) হাজ্জাজ ইবনু ফুরাফিসাহ হতে, তিনি যুহরী হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল। কারণ এ হাজ্জাজ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, আবেদ তবে সন্দেহকারী।
আর আবু হিজামেরই জীবনী পাচ্ছি না।
إذا إنتاط غزوكم وكثرت العزائم واستحلت الغنائم، فخير أعمالكم الرباط ضعيف - رواه ابن حبان في " صحيحه " (1625) وابن أبي عاصم في " الجهاد " (2 / 102 / 1) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (7 / 22 / 1) والخطيب (12 / 135) عن سويد بن عبد العزيز عن عبيد الله بن عبيد الكلاعي عن مكحول عن وقال الحافظ في " التهذيب ": " وضعفه ابن حبان جدا، وأورد له أحاديث مناكير، ثم قال: وهو ممن أستخير الله فيه لأنه يقرب من الثقات قلت: ومن طريقه رواه الطبراني أيضا في " الكبير " كما في " المجمع " (5 / 290) وقال: " وهو متروك ". وقد روي بإسناد خير من هذا ولكنه موقوف وهو بلفظ: " يأتي على الناس زمان أفضل الجهاد الرباط، ذلك إذا اطاط (كذا) الغزو وكثرت العزائم واستحلت الغنائم، وأفضل الجهاد يومئذ الرباط ". رواه بن أبي شيبة في " المصنف " (7 / 153 / 2) : أخبرنا أبو أسامة عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر قال: أخبرنا خالد بن معدان قال: سمعت أبا أمامة وجبير بن نفير يقولان: فذكره موقوفا عليهما. قلت: وهذا إسناد صحيح، ولكنه موقوف. ولكن هل هو في حكم المرفوع؟ ذلك ما لم يظهر لي الآن. والله أعلم. وقد روي مرفوعا مرسلا بلفظ: " يأتي على الناس زمان يكون أفضل الجهاد فيه الرباط، والرباط أصل الجهاد وفرعه ". رواه أبو حزام بن يعقوب الحنبلي في " الفروسية " (1 / 9 / 1) عن الحجاج بن فرافصة عن الزهري مرفوعا. قلت: وهذا مع إرساله ضعيف، لأن الحجاج هذا قال الحافظ: " صدوق عابد يهم ". وأبو حزام نفسه لم أجد له ترجمة