পরিচ্ছেদঃ
১৮৮৯। তোমাদের একেকজন তার ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ। অতএব তার মাঝে যদি কষ্টদায়ক কিছু দেখে তাহলে সে যেন তার থেকে তা মুছে ফেলে (দূর করে)।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক “আযযুহুদ” গ্রন্থে (৭৩০), তার থেকে তিরমিযী (১/৩৫১), ইবনু আবী শাইবাহ (৮/৫৮৪), সিমনানী "আলফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (২/১), আবুল হাসান হারবী “আলফাওয়াইদ মুনতাকাত” গ্রন্থে (৪/২/২) ও ইবনু আসাকির (১৪/২৮৪/১, ১৮/৮২/২) ইয়াহইয়া ইবনু ওবাইদুল্লাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু ওবাইদুল্লাকে শুবা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এ অধ্যায়ে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইয়াহইয়া মাতরূক। হাকিম কঠোর ভাষায় তাকে জাল করার দোষে দোষী করেছেন। যেমনটি "আততাকরীব" গ্রন্থে এসেছে। তার সূত্রেই ইবনু মানী নিম্নের ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ
“মুসলিম হচ্ছে মুসলিমের আয়না স্বরূপ। যদি তার মাঝে কোন কিছু (ক্রটি) দেখে তাহলে সে যেন তাকে ধরিয়ে দেয়।” “আলফাইয” গ্রন্থে এরূপই এসেছে।
এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৩০) আর তার থেকে বুখারী "আলমুফরাদ" গ্রন্থে (২৩৮) অন্য সূত্রে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে নিম্নের ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ
"মু’মিন হচ্ছে মুমিনের জন্য আয়না স্বরূপ, অতএব সে যদি তার মধ্যে কোন দোষ দেখে তাহলে তাকে যেন সংশোধন করে দেয়।"
সুলাইমান ইবনু রাশেদ ছাড়া এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, আর তার অবস্থা অস্পষ্ট। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। তবে মারফুর চেয়ে এটির অবস্থা বেশী ভালো।
সতর্কবাণীঃ তাদের কোন কোন ব্যক্তি হতে এ হাদীসের ব্যাপারে মারাত্মক ভুল সংঘটিত হয়েছে। যেমন “সুনানুত তিরমিযী’ (৬/১৭৫)এর টীকা লেখক বলেছেনঃ এটিকে ইমাম বুখারী ও মুসলিম এ ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ
المؤمن مرآة المؤمن، والمؤمن أخوالمؤمن، يكف عنه ضيعته ويحوطه من ورائه
“মু’মিন হচ্ছে মুমিনের জন্য আয়না স্বরূপ, মু’মিন হচ্ছে মুমিনের ভাই, সে তার থেকে তার নষ্ট হয়ে যাওয়াকে রক্ষা করে এবং সে তাকে তার পেছনে থেকে হেফাযাত করে।” অনুরূপভাবে আবু দাউদ ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার এ কথায় দু’টি ধরার বিষয় রয়েছে, যে দু’টির একটি অন্যটির চেয়ে বেশী মন্দঃ
১। ইমাম মুসলিমের উদ্ধৃতি দেয়াটা ভুল।
২। আর ইমাম বুখারীর উদ্ধৃতি দেয়াটা সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে যে তিনি এটিকে তার “সহীহ” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আসলে তা নয়। তিনি এটিকে “আলআদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (২৩৯) বর্ণনা করেছেন। যার সনদটি হাসান। আমি এটিকে “সহীহাহ” গ্রন্থে (৯২৬) তাখরীজ করেছি।
إن أحدكم مرآة أخيه، فإن رأى به أذى فليمطه عنه ضعيف جدا - رواه عبد الله بن المبارك في " الزهد " (730) وعنه الترمذي (1 / 351 - بولاق) وابن أبي شيبة (8 / 584) والسمناني في " الفوائد المنتقاة " (2 / 1) وأبو الحسن الحربي في " الفوائد المنتقاة " (4 / 2 / 2) وابن عساكر (14 / 248 / 1 و18 / 82 / 2) عن يحيى بن عبيد الله قال: سمعت أبي قال: سمعت أبا هريرة يقول مرفوعا. وقال الترمذي: " ويحيى بن عبيد الله ضعفه شعبة، وفي الباب عن أنس ". قلت: يحيى هذا متروك، وأفحش الحاكم فرماه بالوضع، كما في التقريب ومن طريقه أخرجه ابن منيع بلفظ: " المسلم مرآة المسلم، فإذا رأى به شيئا فليأخذه ". كما في " فيض القدير ". وقد أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 30) وعنه البخاري في " المفرد " (238) من طريق أخرى عن أبي هريرة موقوفا عليه بلفظ: " المؤمن مرآة المؤمن، إذا رأى فيه عيبا أصلحه ". ورجاله ثقات غير سليمان بن راشد، وهو مستور كما قال الحافظ، فهو أصح من المرفوع. (تنبيه) : من الأخطاء الفاحشة التي وقعت لبعضهم في هذا الحديث، قول المعلق على " سنن الترمذي " (6 / 175 - طبعة حمص): " أخرجه البخاري ومسلم بلفظ: " المؤمن مرآة المؤمن، والمؤمن أخوالمؤمن، يكف عنه ضيعته ويحوطه من ورائه "، وكذلك رواه أبو داود ... ". قلت: وفيه مؤاخذتان إحداهما أسوأ من الأخرى: الأولى: عزوه لمسلم، وهذا خطأ محض الأخرى: إطلاق العزوللبخاري يوهم أنه في " صحيحه "! وليس فيه، وإنما رواه في " الأدب المفرد " (239) وإسناده حسن، وهو مخرج في " الصحيحة " (926)