পরিচ্ছেদঃ
১৮৮৫। জান্নাতে একশতটি স্তর রয়েছে। প্রতিটি স্তরের মাঝের দূরত্ব পাঁচশত বছরের দূরত্বের সমান।
হাদীসটি এ ভাষায় মুনকার।
এটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৫৬৯৫) ও আবূ নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৩০৫) ইয়াহইয়া হাম্মানী সূত্রে শারীক হতে, মুহাম্মাদ ইবনু জুহাদাহ হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। শারীক হচ্ছেন ইবনু আব্দুল্লাহ কাযী, তার হেফযে ক্রটি থাকার কারণে তিনি দুর্বল। আরেক বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হামানী, তিনিও তার মতই। তার ভাষারও বিরোধিতা করা হয়েছে। ইমাম আহমাদ (২/২৯২) ইয়াযীদ হতে, তিনি শারীক ইবনু আব্দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি একশত বছরের কথা উল্লেখ করেছেন।
অনুরূপভাবে হাদীসটিকে তিরমিযী (৩/৩২৫) অন্য সূত্রে ইয়াযীদ হতে বর্ণনা করে তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। অন্য কপিতে বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ সহীহ। শারীকের হেফয ক্রটিপূর্ণ এ অবস্থা হতে তার মন্তব্য বহু দূরবর্তী বিষয়। তবে এর শাহেদ এসেছে যেমনটি আসবে।
আলোচ্য হাদীসটিকে হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (১০/৪১৯) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হামানী রয়েছেন। তিনি দুর্বল। সুয়ূতীও ত্ববারানীর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ লেখক থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কিংবা তাদের একজনও বর্ণনা করেননি। অথচ এটিকে ইমাম বুখারী, অনুরূপভাবে তিরমিযী ও আহমাদ বর্ণনা করেছেন এবং বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ ফিরদাউস হচ্ছে সেগুলোর সর্বোচ্চ স্তর, তার থেকেই জান্নাতের চারটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। আর তার উপরেই হচ্ছে আরশ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মানবী হতে এটা সন্দেহমূলকভাবে ঘটেছে। কারণ ইমাম বুখারী ও তিরমিযী হাদীসটিকে এ ভাষায় বর্ণনা করেননি। বরং তারা “দু’স্তরের মাঝের দূরত্ব আসমান ও যমীনের দূরত্বের ন্যায়” এ ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এটা গেল এক ব্যাপার। আর হাদীসের মধ্যে উল্লেখিত ’পাঁচশত বছর’ এটি দ্বিতীয় বিষয়। কারণ অন্য বর্ণনায় একশত বছরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটিই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। এ সম্পর্কে আমি “সিলসিলাহ্ সহীহাহ” গ্রন্থে (নং ৯২১, ৯২২) বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
الجنة مائة درجة، ما بين كل درجتين خمسمائة عام منكر بلفظ: خمسمائة - رواه الطبراني في " المعجم الأوسط " (5695 - بترقيمي) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 305) من طريق يحيى الحماني: حدثنا شريك عن محمد بن جحادة عن عطاء عن أبي هريرة مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف، شريك وهو ابن عبد الله القاضي ضعيف لسوء حفظه. ومثله يحيى، وهو ابن عبد الحميد الحماني. وقد خولف في متنه، فقال أحمد (2 / 292) : حدثنا يزيد أنبأنا شريك بن عبد الله به، إلا أنه قال: " مائة عام ". وكذلك أخرجه الترمذي (3 / 325) من طريق أخرى عن يزيد به، وقال: " حديث حسن ". زاد في نسخة: " صحيح ". وهو بعيد جدا عن حال شريك في الحفظ، لكن قد جاء ما يشهد له كما يأتي. والحديث قال الهيثمي في " المجمع " (10 / 419) : " رواه الطبراني في " الأوسط " وفيه يحيى بن عبد الحميد الحماني وهو ضعيف " وكذلك عزاه السيوطي للطبراني فقط، فتعقبه المناوي بقوله: " هذا من المصنف كالصريح في أن هذا الحديث لم يتعرض الشيخان ولا أحدهما لتخريجه، وإلا لما عدل عنه، وأعظم به من غفلة، فقد خرجه سلطان المحدثين البخاري وكذا أحمد والترمذي باللفظ المزبور. وزادوا: والفردوس أعلاها درجة، ومنها تفجرت أنها الجنة الأربعة، وفوق ذلك يكون العرش ". وأقول: هذا وهم من المناوي رحمه الله تعالى، فلم يروه البخاري والترمذي باللفظ المزبور أصلا، وإنما بلفظ: " ما بين الدرجتين كما بين السماء والأرض "، وهذا شيء، وما في الحديث: " ... خمسمائة عام " شيء آخر، ولاسيما أن في الرواية الأخرى: " مائة عام "، وهي أرجح كما سبقت الإشارة إليه، وقد شرحت القول فيها في " الأحاديث الصحيحة "، فراجع رقم (921 - 922) . ومن غفلة المناوي التي اتهم بها السيوطي - وإن كان هذا لم ينج منها، ولا يمكن أن ينجومنها أحد إلا من عصم الله - أن السيوطي أورد الحديث بلفظ البخاري معزوا لابن مردويه فقط! فتعقبه المناوي بقوله: " وظاهر صنيع المصنف أنه لم يره لأحد من المشاهير الذين وضع لهم الرموز، وإلا لما أبعد النجعة، وهو عجب، فقد خرجه الحاكم باللفظ المزبور وقال: على شرطهما". فذهل المناوي عن كون الحديث عند البخاري باللفظ المذكور، وأن الحاكم وهم في استدراكه له على البخاري