হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৮৬৩

পরিচ্ছেদঃ

১৮৬৩। তোমরা শিংগা (রক্তমোক্ষম) লাগাও পনেরো, অথবা সতের, অথবা উনিশ, অথবা একুশ তারিখে। তাহলে রক্ত আন্দোলিত (অস্থির) হয়ে তা তোমাদের হত্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু জারীর “তাহযীবুল আসার” গ্রন্থে (২/১১৬), বাযযার (৩০২৩), ত্ববারানী (৩/১০৮/২) ও জুরজানী (২৮৬) ইয়া’কুব কুম্মী হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ লাইস হচ্ছেন ইবনু আবী সুলাইম, তিনি দুর্বল তার মন্দ হেফয এবং মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে। ইয়াকুব কুম্মী হচ্ছেন ইবনু আব্দুল্লাহ, তিনি সত্যবাদী কিন্তু সন্দেহকারী। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেন।

হাদীসটি আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কর্ম হিসেবে সহীহ, তবে শেষবাক্য (لا يتبيغ) ছাড়া। এটির "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (৯০৮) তাখরীজ করেছি। তার কথা হিসেবে শেষবাক্য (لا يتبيغ ...) ছাড়াও সহীহ, দেখুন হাদীস নং (১৮৪৭)। আর আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীস হতে অনুরূপ হাদীস (নং ৬২২) দেখুন। এগুলোর কোনটিকেই (لخمس عشرة) এ শব্দটি আসেনি। তবে শেষবাক্য (تبيغ) সহকারে অন্য সূত্রে নিম্নোক্ত ভাষায় হাসান হিসেবে বর্ণিত হয়েছেঃ

إذا هاج بأحدكم الدم ...

তোমাদের কারো রক্ত যখন ভড়কে যাবে তখন সে যেন রক্তমোক্ষম করে, কারণ কারো রক্ত আন্দোলিত (অস্থির) হয়ে গেলে তা তাকে হত্যার কারণ হয়ে দাড়াবে।

এটিকে আমি “সিলসিলাহ্ সহীহাহ” গ্রন্থে (নং ২৭৪৭) তাখরীজ করেছি।

হাদীসটিকে বাযযার লাইসের সূত্রেও বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলমাজমা” গ্রন্থে (৫/৯৩) এসেছে। তার থেকে হাদীসটি যে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে এসেছে তা ছুটে গেছে। আর এর একটি শাহেদ রয়েছে যেটিকে ইবনু মাজাহ্ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দুর্বল। সেটি হচ্ছে নিম্নের হাদীসটিঃ (দেখুন পরেরটি)

احتجموا لخمس عشرة أولسبع عشرة أوتسع عشرة أوإحدى وعشرين، لا يتبيغ بكم الدم فيقتلكم ضعيف - رواه ابن جرير في " تهذيب الآثار " (2 / 116) والبزار (3023 - كشف الأستار) والطبراني (3 / 108 / 2) والجرجاني (286) عن يعقوب القمي عن ليث عن مجاهد عن ابن عباس مرفوعا قلت: وهذا إسناد ضعيف، ليث هو ابن أبي سليم، وهو ضعيف لسوء حفظه واختلاطه. ويعقوب القمي، وهو ابن عبد الله صدوق يهم كما في " التقريب ". وإنما يصح الحديث من رواية أنس من فعله صلى الله عليه وسلم دون قوله: " لا يتبيغ ". وهو مخرج في " الصحيحة " (908) ومن قوله نحوه دون: (التبيغ) ، فانظر رقم (1847) ومن حديث أبي هريرة نحوه رقم (622) وليس فيها كلها قوله: " لخمس عشرة "، لكن جملة (التبيغ) قد جاءت من طريق أخرى بلفظ: " إذا هاج بأحدكم الدم ... ". خرجته في " الصحيحة" برقم (2747) . وقد رواه البزار من طريق الليث أيضا كما في " المجمع " (5/ 93) وفاته أنه في " كبير " الطبراني فلم يعزه إليه، وقلده السيوطي في " الجامع " فلم يعزه إلا للبزار وأبي نعيم في " الطب "! وله شاهد قاصر، يرويه ابن ماجة، ولكنه واه، ولفظه: " من أراد الحجامة فليتحر سبعة عشر أوتسعة عشر أوإحدى وعشرين ولا يتبيغ بأحدكم الدم فيقتله


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ